তখন উত্তেজনা তুঙ্গে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
জাগ্রত সঙ্ঘ পরিচালিত আট দলীয় নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতার ট্রফি উঠল স্থানীয় ট্যাংরা এলাকার নিউ জেমস ইন্ডিয়ার হাতে। রবিবার বনগাঁ স্টেডিয়ামে আয়োজিত ফাইনালে তারা এক গোলে পরাজিত করে বনগাঁ শহরের এগিয়ে চলো সঙ্ঘকে।
এ দিন ফাইনাল খেলা দেখতে মাঠে কয়েক হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। দু’টি দলেই কলকাতা ময়দানের বিভিন্ন ক্লাবের দেশি-বিদেশির খেলোয়াড়েরা যোগ দেন। প্রথমার্ধ্বের প্রথম ১০ মিনিট দু’দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে। পরের অংশে অবশ্য খেলায় কিছুটা ছন্দপতন হয়। নিউ জেমসের দুই খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেছেন।
হাফটাইমের পর থেকে খেলায় গতি আসে। দু’দলই গোল করতে আক্রমণে ঝাঁপায়। ১০ মিনিটের মাথায় নিউ জেমসের এক খেলোয়াড়কে নিজেদের বক্সের ঠিক বাইরে ফাউল করেন। রেফারি আতিয়ার রহমান নিউ জেমসের অনকূলে ফ্রি-কিক দেন। নাইজেরিয় খেলোয়াড়ের আবুর নেওয়া ফ্রি-কিকের জোরাল শট এগিয়ে চলোর গোলকিপার ইমরান আলি ঠিক মতো বাগে আনতে পারেননি। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন আবু-ই। গোল দেওয়ার পরে গ্যালারির কাছে গিয়ে আবুর কোমর দুলিয়ে নৃত্য দর্শকদের মাতিয়ে দেয়। ম্যাচের বাকি সময়টুকু আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। এগিয়ে চলো সঙ্ঘ বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও ফরওয়ার্ডদের ব্যর্থতায় তারা গোল পায়নি। যদিও তাদের দলের অয়ন দাস শর্মার খেলা দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। আবু পরে বলেন, “খেলার একমাত্র গোল করতে পেরে আমি খুবই উত্তেজিত ও খুশি। দর্শকেরা ভাল খেলতে অনুপ্রাণিত করেছেন।”
৩০ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল প্রতিযোগিতা। সোনালি স্পোর্টিং ক্লাব, হাবরার গোষ্ঠপাল ফুটবল কোচিং সেন্টার, অশোনগরের নবীন সঙ্ঘ, শ্যামনগর পাঠচক্র ও বিষ্ণুপুরের জাগরণীও যোগ দিয়েছিল। প্রতিযোগিতায় ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছে সোনালির ছেলেরা। খেলা দেখতে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক শঙ্কর আঢ্য, প্রাক্তন ফুটবলার তথা বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি সুনীল সরকার।
উদ্যোক্তাদের তরফে মলয় বসু বলেন, “বনগাঁর সব মানুষের সহযোগিতা পাই বলেই প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করতে পারি।” প্রতিযোগিতা এ বার ছ’বছরে পা দিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy