সাতমুখো বাজার থেকে ডাবু যাওয়ার রাস্তা।—নিজস্ব চিত্র।
শিলান্যাসের পর দু’বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু আজও শেষ হল না ক্যানিং মহকুমার ক্যানিং ১ ব্লকের সাতমুখী বাজার থেকে ডাবু স্লুইস গেট পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তায় কাজ হয়েছে তিন কিলোমিটারের। কিন্তু এক কিলোমিটার রাস্তার কাজ এখনও না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনও নজর নেই বলেও অভিযোগ।
কিন্তু যেখানে তিন কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে, সেখানে এক কিলোমিটার বাকি থেকে গেল কী করে? সদুত্তর মেলেনি কারও কাছেই। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই রাস্তার কাজ কেন বন্ধ হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।” মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, “রাস্তার কাজ বন্ধ বলে জেনেছি। দফতরের সঙ্গে কথা বলে কী ভাবে দ্রুত কাজ শুরু করা যায় তা দেখছি।”
২০১২ সালে ৩ জুন তত্কালীন সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী মানস ভঁুইয়া রাস্তার শিলান্যাস করেছিলেন। প্রায় ৮৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তিন মাসের মধ্যে ওই কাজটি শেষ করার কথা ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার পর্যটনের প্রসার ঘটাতে সুন্দরবনে বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে। সে দিক দিয়ে বিচার করলে ক্যানিংয়ের ডাবু এখানকার একমাত্র পিকনিক স্পট। বাম আমলে সেচ দফতরের ক্যানেল বিভাগ ডাবুতে মাতলা নদীর চরে ম্যানগ্রোভ গাছ লাগিয়ে এক মনোরম পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। আর এখানে পিকনিক করতে আসার একমাত্র পথ হল ওই রাস্তা। সে কারণে ওই রাস্তাটি শীঘ্রই শেষ হওয়া দরকার। অসম্পূর্ণ রাস্তার জন্য এ বার এখানে পর্যটকেরা কম এসেছেন বলে জানালেন এলাকার মানুষজন।
তা ছাড়া, এখন এই রাস্তায় বড় বড় গতের্র সৃষ্টি হয়েছে। প্রায়শই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা বলে জানান এলাকারে মানুষ। অন্য দিকে, সাতমুখী বাজারে ডাবু যাওয়ার রাস্তার পাশে সরকারি জমি দখল করে তৈরি হয়েছে নানা রকম দোকান। আর সেই সব দোকানের মালপত্র রাস্তার উপরে সাজিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এর ফলে রাস্তাটি সরু হয়ে যাচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতেও সমস্যা হচ্ছে বলে জানান চালকেরা। মন্টু সরকার, আনার ঘরামি নামে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় বিপদের আশঙ্কা নিয়েই যাতায়াত করতে হয়। প্রশাসনের এ বিষয়ে কোনও দৃষ্টি নেই। অথচ শিলান্যাসের তিনমাসের মধ্যে এই রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।”
রাস্তার উপরে দোকানগুলির বিষয়ে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিষ্ণুপদ নস্করকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না বলে জানান তাঁরা। বিষ্ণুূবাবু বলেন, “বাজারে শুধুমাত্র একটি দোকানই রাস্তার উপরে মাল রাখে। এ নিয়েই সমস্যা হচ্ছে শুনেছি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। প্রয়োজনে প্রশাসনের সাহায্য নেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy