Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

উদ্ধার লগ্নি সংস্থার এজেন্টের মৃতদেহ

রেললাইন থেকে এক অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টের মৃতদেহ মেলার পরে, খুনের অভিযোগ দায়ের হল রেল পুলিশের কাছে। বুধবার সকালে শিয়ালদহ-ক্যানিং শাখার পিয়ালি ও চম্পাহাটি স্টেশনের মাঝে উদ্ধার হওয়া দেহটি গৌতম মৃধার (৪৮)। তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা মৃধা সোনারপুর জিআরপি থানায় করা অভিযোগে দাবি করেছেন, কিছু আমানতকারী বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করার পরে, গৌতমবাবুর দেহ লাইনে ফেলে দিয়েছে। রেল পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। খুনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মৃত এজেন্ট।

মৃত এজেন্ট।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ক্যানিং শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৫৩
Share: Save:

রেললাইন থেকে এক অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টের মৃতদেহ মেলার পরে, খুনের অভিযোগ দায়ের হল রেল পুলিশের কাছে। বুধবার সকালে শিয়ালদহ-ক্যানিং শাখার পিয়ালি ও চম্পাহাটি স্টেশনের মাঝে উদ্ধার হওয়া দেহটি গৌতম মৃধার (৪৮)। তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা মৃধা সোনারপুর জিআরপি থানায় করা অভিযোগে দাবি করেছেন, কিছু আমানতকারী বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করার পরে, গৌতমবাবুর দেহ লাইনে ফেলে দিয়েছে। রেল পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। খুনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, গৌতমবাবুর বাড়ি সুন্দরবনের ছোট মোল্লাখালির দয়াপুর ৩ নম্বর গ্রামে। তবে স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে তিনি পিয়ালির কলারিয়া-ছাঁটুইপাড়ায় ভাড়া থাকতেন। একটি লগ্নি সংস্থার ক্যানিং সদর শাখায় এজেন্ট ছিলেন। স্থানীয় আমানতকারীদের কাছ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে লগ্নি সংস্থাটি পাততাড়ি গোটায়। ক্যানিং সদরে বছরখানেক আগে তাদের অফিস বন্ধ হয়।

স্ত্রী-র দাবি, এর পর থেকেই আমানতকারীরা টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য গৌতমের উপরে চাপ বাড়ান। আমানতকারীদের এড়াতে মাসখানেক আগে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান গৌতম। কিন্তু গত সোমবার জনা পনেরো আমানতকারী সেখানে হাজির হয়ে গৌতমকে পিয়ালির ভাড়াবাড়িতে ফিরতে বাধ্য করেন। পূর্ণিমাদেবীর কথায়, “জমি, গয়না বিক্রি করে স্বামী প্রায় ৭ লক্ষ টাকা শোধ করেন। কিন্তু পাওনাদারদের আনাগোনা বন্ধ হয়নি।” তাঁর বক্তব্য, গ্রামের বাড়িতে আমানতকারীদের হাজির হওয়া এবং গৌতমকে জোর করে পিয়ালিতে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উপকূল থানায় জানানো হয়েছিল। তবে জেলা পুলিশ সে দাবি মানেনি। তাদের বক্তব্য, এ ব্যাপারে কোনও লিখিত অভিযোগও দায়ের করেনি মৃধা পরিবার।

রেল পুলিশের কাছে পূর্ণিমাদেবী জানিয়েছেন, বুধবার ভোর ৪টে নাগাদ গৌতমবাবুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। সকাল ৬টা নাগাদ তাঁর দেহ মেলে। রেল পুলিশ সূত্রের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে গৌতমবাবুর দেহে মারধরের কোনও চিহ্ন চোখে পড়েনি তাদের। ঠিক কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট মেলার পরে স্পষ্ট হবে।

পিয়ালিতে বন্ধু ব্রজেন সরকারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন গৌতম। ব্রজেনবাবু বলেন, “প্রায়ই আমানতকারীরা বাড়িতে এসে গৌতমের কাছে টাকা ফেরত চাইত। মিটমাটের চেষ্টা করলে শুনত না। কিন্তু তা বলে ওকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে ট্রেনের তলায় ফেলে দেওয়া হবে? বিশ্বাস করতে পারছি না!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE