Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

উস্তিতে ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

শিক্ষকের মারে জখম হল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। রুবিনা খাতুন নামে ওই ছাত্রীকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে উস্তির সপ্তগ্রাম উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উস্তি শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৪ ০১:১১
Share: Save:

শিক্ষকের মারে জখম হল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। রুবিনা খাতুন নামে ওই ছাত্রীকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে উস্তির সপ্তগ্রাম উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন বেলা পৌনে ২টো নাগাদ স্কুলে টিফিন পিরিয়ডে প্রধান শিক্ষকের ঘরের সামনে সাইরা খাতুন নামে এক ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন অঙ্কের এক মাস্টারমশাই। সে সময়ে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী রুবিনা খাতুন ওবিসি শংসাপত্র সই করাতে প্রধান শিক্ষকের ঘরে যাচ্ছিল। সাইরাকে ডেকে কথা বলতে বলতে একটু এগিয়ে যায় রুবিনা। অভিযোগ, তাতেই রুষ্ট হন ওই শিক্ষক। বেত দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করেন রুবিনাকে। দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেন বলেও অভিযোগ।

শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালের বেডে শুয়ে রুবিনা বলে, “স্যার মারধর করে চলে যাওয়ার পরে অন্য এক স্যার ও আমার সহপাঠীরা এসে আমাকে কোনও মতে ক্লাসে নিয়ে যায়। তারাই বাড়িতে এগিয়ে দেয়।” বাড়ি ফিরে অসুস্থ বোধ করায় শুক্রবার সকালে তাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে। এ দিন বিকেলে ওই ছাত্রীকে দেখতে হাসপাতালে আসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কয়েক জন সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলি শেখ বলেন, “গতকাল আমি বিষয়টি জানতাম না। আজ সকালে এক সহকর্মীর কাছে জেনেছি। কী কারণে ওই ছাত্রীকে মারধর করা হয়েছে, তা জানি না। ওই ছাত্রীর চিকিৎসা-সংক্রান্ত খরচের বিষয়ে স্কুলে ফিরে আলোচনা করব।”

অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে এ দিন কোনও ভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। ওই শিক্ষকের এক আত্মীয়া কাজ করেন একই স্কুলে। তিনি জানান, এ ভাবে মারধর করাটা ঠিক হয়নি। উত্তেজিত হয়েই বোধহয় এ কাজ করে ফেলেছেন মাস্টারমশাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE