সম্প্রতি একটি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন হল কাকদ্বীপের বুদ্ধপুর গ্রামে। সুন্দরবন এলাকায় নদী বাঁধ ভেঙে এলাকায় প্লাবনের ফলে প্রায়ই বহু মানুষ নিরাশ্রয় হয়ে পড়েন। কেউ স্থানীয় স্কুলবাড়ি, কেউ বা ক্লাব ঘরে আশ্রয় নেন। তার ফলে দিনের পর দিন স্কুল বন্ধ রাখতে হয়। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল প্রকল্পের প্রায় ৩ কোটি ৪২ লক্ষ টাকায় তিনতলার ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দেওয়া প্রায় এক একর জমির উপর তৈরি করা হয়েছে ওই ভবনটি। দোতলা ও তিনতলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়া গৃহহীনদের রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। বাড়ির গবাদি পশু রাখার জন্য পরিকাঠামো গড়া হয়েছে এক তলায়। প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে র্যাম্পের ব্যবস্থা। ভবনের ১০টি ঘরের প্রতিটিতেই রয়েছে পর্যাপ্ত আলো, পাখা, পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা। বহুমুখী কাজে ওই ভবনটি ব্যবহারের জন্য বেশ কয়েকটি ঘরের দেওয়ালে তৈরি হয়েছে বড় বড় ব্ল্যাক বোর্ড। ওই ঘরগুলিতে বিভিন্ন সময়ে নিরক্ষরতা দূরীকরণ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মহিলাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ছাড়াও নানা সামাজিক কাজের জন্য ব্যবহার হবে। কাকদ্বীপের বিডিও অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, “কালনাগিনী নদী লাগোয়া এই গ্রামে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে তাদের এখানে আশ্রয়ের পাশাপাশি জমির দলিল, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড বা অন্যান্য জরুরি কাগজপত্র রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও, বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য এই ভবন ব্যবহার করা হবে।”
সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা জানিয়েছেন, এই ভবনটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি ২৫ জনের কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy