মঙ্গলবার তৃণমূলের মিছিলে স্পিকার বিমান মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র
অস্ত্রোপচার করে শরীর থেকে গুলি বের করা হলেও এখনও বিপন্মুক্ত নন বনগাঁর শিক্ষিকা অদিতি অধিকারী। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ পার্ক সার্কাসের একটি নার্সিংহোমে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে তাঁর অস্ত্রোপচার চলে। মঙ্গলবার দুপুরে অদিতির বাবা মোহনবাবু বলেন, “মেয়ে অল্পস্বল্প কথা বলছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরও কয়েক দিন ওকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হচ্ছে।”
সোমবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ বনগাঁর উত্তর ছয়ঘড়িয়া মোড় এলাকায় যশোহর রোড ধরে ভ্যান রিকশায় চেপে স্কুলে যাচ্ছিলেন অদিতি। সে সময়ে তিন দুষ্কৃতী মোটর বাইকে এসে গুলি চালায়। অদিতি অবশ্য দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য ছিলেন না। ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য হুজুর আলি শেখই ছিলেন হামলাকারীদের নজরে। তিনি ছিলেন ওই ভ্যান রিকশার ঠিক পাশেই। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে লাগে ভ্যানের পিছনে বসে থাকা অদিতির ডান পাঁজরের নীচে।
শিক্ষিকার উপরে হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা ১টা নাগাদ বনগাঁ আদালত চত্বর থেকে মোমবাতি হাতে মৌনী মিছিল বের করে বনগাঁ ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। আইনজীবী ও ল’ক্লার্ক ছাড়াও বহু মানুষ তাতে পা মেলান। বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতানেত্রীরাও ছিলেন।
শিক্ষিকার উপরে হামলার প্রতিবাদে মৌনী মিছিল বনগাঁয়।
মঙ্গলবার ছবিটি তুলেছেন নির্মাল্য প্রামাণিক।
হুজুরের উপরে হামলার কারণ নিয়ে অবশ্য পুলিশ এখনও ধন্ধে। পুরনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তাদের একাংশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার বিকেলে আজব শেখ নামে এক দুষ্কৃতীকে পেট্রাপোল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জেরা করে মূল অভিযুক্ত ইছা মণ্ডল ও রাসেল ওরফে বড়খোকার খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে তারা। এ দিন দুপুরে বনগাঁয় আসেন জেলা পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। দুষ্কৃতীরা যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সে জন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে বিএসএফকে অনুরোধ জানিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy