ত্রাণ বিলি করতে আজ, সোমবার দুপুরে কাজলা রবীন্দ্র শিক্ষা নিকেতন স্কুলে ত্রাণ বিলি করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দেখা গেল, জোর কদমে চলছে মঞ্চ বাঁধার কাজ। বৃষ্টিতে যাতে অনুষ্ঠান পণ্ড না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। গোটা স্কুল চত্বরে কাদা। সেই কাদার উপর ইট বালি ফেলে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কাজের তদারকি করছেন।
ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষের বক্তব্য, ‘‘ঝড়ে বাড়িঘর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এখানে ত্রাণ পাচ্ছি। কিন্তু বাড়ি ফিরতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি থাকবে, দ্রুত বাড়িঘর মেরামত করে দেওয়ার।’’ কাজলা গ্রামের বাসিন্দা দুলাল দাসের টিনে বাড়ি ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল। পরে কোনওমতে একটু ঠিকঠাক করে সেখানেই রয়েছেন। দুলালবাবু বললেন, ‘‘বাড়ি সম্পূর্ণ ঠিক করব, সেই আর্থিক সামর্থ্য নেই। বৃষ্টিতে কাজও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে রোজগার বন্ধ।’’ অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার জানিয়েছেন, জড়ে বিধ্বস্ত বাড়িঘরগুলি মেরামত করার উদ্যোগ করা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী, সাংসদ এবং পুরসভা যৌথ উদ্যোগে ওই কাজ শীঘ্রই শুরু করবে। ইতিমধ্যেই কিছু টিন কেনা হয়েছে।’’
এ দিকে, রবিবার ঝড়ে বিধ্বস্ত অশোকনগরের কাজলা গ্রাম ঘুরে দেখলেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত। পরে হাবরার শ্রীনগর এলাকাতেও যান তিনি। রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ অসীমবাবু কাজলা গ্রামে আসেন। সঙ্গে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাবুল কর, অশোকনগরের প্রাক্তন দুই সিপিএম বিধায়ক সত্যসেবী কর ও শর্মিষ্ঠা দত্ত।
বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে ত্রাণ বিলিতে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘বড় কোনও বিপর্যয়ের পরে কেউ ত্রাণ দিতে এসে না দিতে পেরে ফিরে গিয়েছেন, এমন ঘটনা এ রাজের ইতিহাসে ছিল না।’’ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি ঋণ মুকুবের দাবি তুলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy