জনতার রোষ গিয়ে পড়েছে গৌর শাস্ত্রীর গাড়ির উপরে। নৈহাটিতে। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
কপালে লাল তিলক। পরণে গেরুয়া পোশাক। মুখ গামছায় বাঁধা। দেখনদারি বেশভূষায় সজ্জিত মাঝবয়সী জ্যোতিষীকে ঘর থেকে যখন পুলিশি পাহারায় বের করে আনা হচ্ছে, তখনও উত্তেজিত জনতা চিৎকার করছে, ‘‘ভণ্ড লোকটাকে আমাদের হাতে ছেড়ে দিন! আমরাই ওকে উচিত শিক্ষা দেবো।’’
ততক্ষণে নৈহাটির মাদ্রালে গৌর চক্রবর্তী ওরফে গৌর শাস্ত্রী নামে ওই জ্যোতিষীর বাড়িতে দফায় দফায় ভাঙচুর চালিয়েছে জনতা। দু’টি গাড়িও ভাঙচুর করেছে। একটি স্কুটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জ্যোতিষীর কিছু চ্যালা-চামুণ্ডা বাধা দিতে গেলে তাদেরও পেটানো হয়। ধর্ষণের চেষ্টা ও প্রতারণার অভিযোগে বুধবার রাতে গৌর শাস্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী-মেয়েকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা বছর তিরিশের এক বধূ দাম্পত্য কলহের প্রতিকারের আশায় গৌরের বাড়িতে যান। এর আগেও একবার ওই জ্যোতিষীর সঙ্গে পরামর্শ করতে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ে যাগযজ্ঞ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন জ্যোতিষী। এ দিন ওই বধূর সঙ্গে ছিলেন তাঁর কাকিমা। তাঁকে বাইরে বসিয়ে বধূকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন গৌর। অভিযোগ, ফুলের মধ্যে কিছু মিশিয়ে সেই গন্ধ শুঁকিয়ে মহিলাকে অচেতন করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ঘণ্টাখানেক পরে ঘোর কাটলে মহিলা দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে চিৎকার শুরু করেন। এরপরেই লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তখনকার মতো বিষয়টি ধামাচাপা পড়লেও বিকেলে কিছু লোক ফের হাজির হয় জ্যোতিষীর বাড়িতে। শুরু হয় ভাঙচুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy