Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
অশোকনগর-কল্যাণগড়

নতুন মুখের উপরেই ভরসা রাখছেন বামেরা

বনগাঁ ও অশোকনগর-কল্যাণগড়ের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বাম প্রার্থীরা। মঙ্গলবার বারাসতে জেলা শাসকের দফতরে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুর এলাকার ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বাম প্রার্থীরা। বাকি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বামেদের তরফে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৫ ০০:৫৭
Share: Save:

বনগাঁ ও অশোকনগর-কল্যাণগড়ের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বাম প্রার্থীরা।

মঙ্গলবার বারাসতে জেলা শাসকের দফতরে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুর এলাকার ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বাম প্রার্থীরা। বাকি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বামেদের তরফে। ২৩ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডে সিপিএম, ৬টি ওয়ার্ডে সিপিআই ও দু’টি ওয়ার্ডে বাম-সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিপিএম প্রার্থী হিসাবে এ দিন অশোকনগরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যসেবী কর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন বিধায়ক ও পুর চেয়ারম্যান শর্মিষ্ঠা দত্ত মনোনয়ন জমা দেন।

২০১০ সালের পুরভোটে ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ২০টি আসন। সিপিএম পেয়েছিল ২টি আসন। সিপিএম জিতেছিল ১০ নম্বর ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। দুই জয়ী কাউন্সিলরের মধ্যে এ বার প্রার্থী হতে পারেননি ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিরুপমা ঘরামি। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসকে দল এ বার প্রার্থী করেছে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সত্যসেবীবাবু বলেন, “বিগত পুরবোর্ড ও সরকারের কাজকর্ম দেখে এই শহরের মানুষের আশাভঙ্গ হয়েছে। দালাল-মুক্ত স্বচ্ছ পুরবোর্ড গঠন আমাদের অঙ্গীকার। শহরের দল মত নির্বিশেষে মানুষ আমাদের পাশে থাকবেন।”

বনগাঁ মহকুমাশাসকের দফতরে বনগাঁ পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের জন্য এ দিন বামেরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল মহকুমাশাসকের দফতরে আসে। সিপিএম ১৮টি ওয়ার্ডে, সিপিআই ৩টি ওয়ার্ডে ও ফব ১টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে। রবিবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময়ে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। এ দিন ওই ওয়ার্ড থেকে ফব প্রার্থী হিসাবে কেয়া দাস মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতবার জয়ী ১০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে এ বার প্রার্থী হয়েছেন মাত্র দু’জন। তাঁরা হলেন চন্দনা সাহা ও তাপস মুখোপাধ্যায়। এ দিন এসেছিলেন বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক পঙ্কজ ঘোষ, সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রণজিত্‌ মিত্র। রণজিত্‌বাবু বলেন, “এ বার বামেদের সম্ভাবনা বেশি। মানুষ নতুন মুখ চাইছেন।”

অন্য দিকে, গোবরডাঙা পুরসভার ১৭টি আসনের মধ্যে বামেরা ১৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বুধবার মনোনয়ন জমা দেবেন। গত বার সিপিএমের জয়ী ৫ কাউন্সিলরের মধ্যে এ বার ২ জন কাউন্সিলর টিকিট পাননি। ৮ নম্বর ওয়ার্ডটি সংরক্ষিত হওয়ায় পুরসভার বিরোধী দলনেতা বাপি ভট্টচার্য এ বার দাঁড়াতে পারেননি। আশপাশের ওয়ার্ডগুলিও সংরক্ষিত। সেখানে এ বার প্রার্থী হয়েছেন পঙ্কজ বিশ্বাস। বামেদদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোক দাস কাজের সূত্রে ওয়ার্ডে ঠিকমতো সময় দিতে না পারায় তাঁর বদলে প্রার্থী করা হয়েছে শমীক সরকারকে। এ ছাড়া, তিন কাউন্সিলর, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছবি মণ্ডল, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সবিতা মজুমদার ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দীপক মণ্ডলকে এ বারও দল প্রার্থী করেছে। সিপিআই এখানে ৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বাপিবাবু বলেন, “গত পাঁচ বছরে শহরে নতুন করে কোনও উন্নয়ন হয়নি। যা হয়েছে সবই আমাদের আমলে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE