Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রেমিকাকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা

প্রেমিকার গলায় দায়ের কোপ মেরে খুন করে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করল এক যুবক। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে, বাদুড়িয়ার ফরিদকাটি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম ফরিদা বিবি (৩৫)। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। ফরিদার মৃত্যুর পরে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন মোকসেদ সর্দার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:১৫
Share: Save:

প্রেমিকার গলায় দায়ের কোপ মেরে খুন করে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করল এক যুবক। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে, বাদুড়িয়ার ফরিদকাটি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম ফরিদা বিবি (৩৫)। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। ফরিদার মৃত্যুর পরে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন মোকসেদ সর্দার। তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে রুদ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি পাঠানো হয়। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তের জন্য।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদুড়িয়ার ফরিদকাটি গ্রামের বাসিন্দা মোকসেদ সর্দার এবং হজরত গাজির দু’জনেই বিবাহিত। স্ত্রী-সন্তান আছে। হজরতের স্ত্রী ফরিদার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মোকসেদ। বছর তিনেক আগে এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই উভয়ের সংসারে অশান্তি বাধে। স্থানীয় একটি ইটভাটার ‘টিকিট মাস্টার’ মোকসেদের স্ত্রী স্বামীর কাজকর্মে তিতিবিরক্ত হয়ে সম্প্রতি গ্রামবাসীদের গোটা বিষয়টি জানান। জানাজানি হওয়ায় মোকসেদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেন ফরিদা।

পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে একটা ইটভাটায় কাজ করতে গিয়েছিলেন ফরিদা। বেলা ১০টা নাগাদ সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি কলে জল খাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সে সময়ে দা নিয়ে তাঁকে পিছন দিক থেকে আক্রমণ করেন মোকসেদ। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ইটভাটার মধ্যে ঢুকে কীটনাশক খান ওই যুবক। হজরত বলেন, “আমরা বকাবকি করার পরে স্ত্রী আর মোকসেদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইছিল না। কিন্তু ওই ব্যক্তি নাছোরবান্দা হয়ে কিছুতেই তা হতে দিচ্ছিল না। আমাকে মারধরেরও চেষ্টা করেছিল।” মৃতার স্বামীর দাবি, “স্ত্রী চেয়েছিল দূরের গ্রামে কাজ করলে মোকসেদ আর মেলামেশা করতে আসতে পারবে না। কিন্তু মোকসেদ ওকে বাঁচতেই দিল না।”

হুমকির জেরে কর্মবিরতি। বাস্তুকারকে হুমকির প্রতিবাদে শুক্রবার দিনভর কর্মবিরতি পালন করলেন সন্দেশখালি ১ বিডিও অফিসের কর্মীরা। ফলে বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা-সহ জরুরি প্রয়োজনে দূরের গ্রাম থেকে আসা বহু মানুষ অসুবিধায় পড়েন। বিডিও অনিন্দ্য গৌতম বলেন, “জরুরি বৈঠকের জন্য আমাকে বাইরে থাকতে হয়েছিল বলে দফতরে যেতে পারেনি। শুনেছি দফতর খোলা থাকলেও কর্মীরা ছিলেন না। কেন এমন হল, তা খোঁজ নিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।”

ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি ১ ব্লক এলাকায় একটি রাস্তার টেন্ডারের জন্য বৃহস্পতিবার ন্যাজাটে ব্লক দফতর থেকে ঠিকাদারদের প্রয়োজনীয় কাগজ দেওয়া হচ্ছিল। ঠিক মতো নথি দেখাতে না পারায় এক ঠিকাদারকে ওই টেন্ডারে যোগ নেওয়ার কাগজ দেননি এক ইঞ্জিনিয়ার। অভিযোগ, ঠিকাদারের হয়ে এক দুষ্কৃতী ওই ইঞ্জিনিয়ারকে নানা ভাবে হুমকি দেয়। তারই প্রতিবাদে ইঞ্জিনিয়ারের সহকর্মীরা এ দিন বিডিও অফিসের হাজির থাকলেও কর্মবিরতি পালন করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতী নিজেকে শাসক দলের লোক বলে দাবি করে। যদিও সে কথা কোনও মতেই মানতে চাননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

suicide attempt basirhat southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE