ধৃত ভানু বালা।—নিজস্ব চিত্র।
বৌমাকে খুনের ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ তাঁর শাশুড়িকে গ্রেফতার করল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাগদা থানার পুলিশ স্থানীয় পারকৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকা থেকে ভানু বালা নামে ওই মহিলাকে ধরে। শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত বধূর নাম প্রিয়াঙ্কা বালা (২২)। বুধবার সকালে বাগদা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাগদা থানার পুলিশ হাসপাতালে যায়। ওই দিন সকালেই প্রিয়াঙ্কার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে ময়না-তদন্ত না হওয়ায় দেহ পাঠানো হয়েছে এনআরএস হাসপাতালে।
বুধবার রাতে প্রিয়াঙ্কার বাবা জয়দেব গাইন বাগদা থানায় মেয়ের স্বামী আশুতোষ বালা ও তার বৌদি অঞ্জলির বিরুদ্ধে মেয়েকে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি মেয়ের শ্বশুর হারাধন, শাশুড়ি ভানু, তিন ভাসুর পরিতোষ, তপন, মনতোষ ও ননদ সাধনার বিরুদ্ধেও মেয়েকে খুনের ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ করেছেন জয়দেববাবু। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁর কুন্দিপুরের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ২০১০ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিয়ে হয়েছিল বাগদার পারকৃষ্ণচন্দ্রপুরের বাসিন্দা আশুতোষের। প্রিয়াঙ্কার বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, বিয়েতে আশুতোষদের দাবি মতো পণ হিসাবে নগদ দেড় লক্ষ টাকা, প্রায় দশ ভরি সোনার গয়না, মোটর বাইক-সহ আরও নানা জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছিল। মাস ছ’য়েক আগে প্রিয়াঙ্কার ছেলে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy