এক ব্যবসায়ীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে হাবরার কুমড়ো এলাকা থেকে কবীর সাহা নামে এক যুবককে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করল পুলিশ। তার বাড়ি ওই এলাকায়। রবিবার তাকে বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখবার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ জুন সন্ধ্যায় কুমড়ো বাজারে নিজের দোকানে বসে শঙ্কর দেব নামে ওই ব্যবসায়ী যুগল মণ্ডল নামে এক জনের সঙ্গে গল্প করছিলেন। যুগলবাবু লোহা-পিতল-তামার জিনিসপত্র শঙ্করবাবুর দোকান থেকে নিয়ে ফেরি করতেন। ওই সময়ে দুই দুষ্কৃতী দোকানে ঢুকে শঙ্করবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিন্তু শঙ্করবাবুর গায়ে না লেগে যুগলবাবুর বুকে গুলি লাগে। স্থানীয় লোকজন দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করলে বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালায় তারা। যুগলবাবুকে আর জি করে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার রাতে তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় শঙ্করবাবুর প্রভাব রয়েছে। তাদের দাবি, কবীরকে জিজ্ঞাসা করে জানা গিয়েছে, এলাকায় শঙ্করবাবুকে খুন করে এলাকা দখল করতে স্থানীয় এক ব্যক্তি অশোকনগর থেকে দুই সুপারি কিলারকে ভাড়া করেছিল। কবীর ও আর একজনকেও ওই কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাদের কাজ ছিল, সুপারি কিলারদের এলাকা চিনিয়ে দেওয়া এবং কাজ শেষ হওয়ার পরে নিরাপদে তাদের এলাকা থেকে বের করে দেওয়া। এরজন্য তাদের মাথাপিছু দশ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা হয়েছিল। কুমড়ো বাজারে তাদের একটি করে দোকান করে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওই ব্যক্তি।
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই এলাকায় একজনের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে রেজ্জাক বলে একজন ওই মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করছে বলে জানতে পারে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কবীরের নাম পাওয়া যায়। শঙ্করবাবুকে খুনের চেষ্টায় কবীর জড়িত থাকতে পারে বলে জানতে পারে। তারপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। আগে ঘটনার তদন্তে নেমে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল পুলিশ। প্রমাণের অভাবে তাকে ছেড়ে দিতে হয়।
ব্যবসায়ীকে মার। শনিবার রাতে নদিয়ার চাকদহের রাউতাড়িতে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। আহত ব্যবসায়ী সুচন্দ দে-কে প্রথমে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও পরে কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করলেও লিখিত কোনও অভিযোগ হয়নি। ওই থানা এলাকার শিমুরালী চৌমাথায় কাপড়ের দোকান সুচন্দবাবুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy