Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মদ্যপ বাবার নামে থানায় অভিযোগ জানাল মেয়েরাই

মদ্যপ বাবার বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হল তিন মেয়ে। রবিবার দুপুরে বিজয় সিংহ নামে ওই মেয়েদের বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের কর্মকার পাড়ার বাসিন্দা বিজয় ভ্যানচালক। তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে বড় জন মাম্পি মূক ও বধির। মেজো মেয়ে বছর আঠারোর ঝিলিক এলাকার একটি লাড্ডু কারখানায় কাজ করে। তার সামান্য রোজগারে দিদির চিকিৎসা, বোন সাথীর পড়াশোনা চলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৪৪
Share: Save:

মদ্যপ বাবার বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হল তিন মেয়ে। রবিবার দুপুরে বিজয় সিংহ নামে ওই মেয়েদের বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের কর্মকার পাড়ার বাসিন্দা বিজয় ভ্যানচালক। তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে বড় জন মাম্পি মূক ও বধির। মেজো মেয়ে বছর আঠারোর ঝিলিক এলাকার একটি লাড্ডু কারখানায় কাজ করে। তার সামান্য রোজগারে দিদির চিকিৎসা, বোন সাথীর পড়াশোনা চলে। একবেলা আধপেটা খেয়ে কোনও মতে দিন কাটায় তিন বোন। বিজয় তার রোজগারের পুরো টাকাটাই মদ খেয়ে উড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ মেয়েদের।

পুলিশের কাছে করা দায়ের অভিযোগে ঝিলিক জানিয়েছে, গত কয়েক বছর আগে মায়ের মৃত্যুর থেকে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বাবা। মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে সকলকে মারধর করেন। শনিবার রাতে বোন ও প্রতিবন্ধী দিদিকে মারধর করে খেতে না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। বাড়ি ফিরে সে কথা জানতে পেরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে পরামর্শ করে ঝিলিক। তারপরেই থানায় আসার সিদ্ধান্ত নেয় তিন বোন। খবর পেয়ে পুলিশ যাওয়ার আগেই অবশ্য বাড়ি ছেড়ে পালান বিজয়। তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, বিজয়কে মদ ছেড়ে মেয়েদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে বলা হবে। না শুনলে আইনি ব্যবস্থা নিতে হতে পারে।

বিজয়ের কীর্তিকলাপে প্রতিবেশীরাও তিতিবিরক্ত। প্রায়ই রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে মেয়েদের মারধর করেন তিনি। প্রতিবাদ করতে গেলে ‘আমার মেয়েদের আমি মারছি, তোরা বলার কে’ বলে হুমকিও দেন। সেই সঙ্গে চলে আশ্রব্য ভাষায় গালিগালাজ। ঝিলিক বলে, “আমার সামান্য রোজগারের টাকায় ছোট বোনটা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা চালাচ্ছে। দিদির চিকিৎসা চলছে। সংসারও চালাতে হয় ওই টাকায়। বাবা আমাদের কষ্টের কথা বুঝতে চান না। প্রায়ই রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে আমাদের তিনবোনকে মারধর করেন। যেখানে আমাদের শীতের পোশাক জোটানোই দায়, সেখানে দিদি-বোনকে মারধর করে শীতের রাতে বাড়ির বাইরে বের করে দিয়েছিলেন বাবা। প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকেও মারধর, গালিগালাজ করেছেন। সে জন্যই বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে এসেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE