লেলিহান: কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ। সোমবার, খড়দহে। নিজস্ব চিত্র
বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে গেল ফাইবার অপটিক তার ও আবরণ মজুতের একটি গুদাম। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে খড়দহের রুইয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় বিঘাখানেক জমির উপরে ওই গুদামে।
দমকল সূত্রে খবর, রাত দুটো নাগাদ আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন প্রথমে ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা দেখে চমকে যান দমকল কর্মীরাই। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় দমকলের মোট ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভাতে যায়।
দমকলের ডি ডিভিশনের আধিকারিকেরা জানান, কী ভাবে আগুন লাগল তা এখনও রহস্য। ওই গুদামটির ফায়ার লাইসেন্স খতিয়ে দেখার কথাও জানিয়েছেন দমকল আধিকারিকেরা। গুদামের মধ্যে আদৌ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও গুদামটির ম্যানেজার সুনীল মোদী বলেন, ‘‘বিভিন্ন টেলিফোন সংস্থাকে ফাইবার অপটিক তার সরবরাহ করি আমরা। এখানে পাঁচিল ঘেরা জায়গায় তার মজুত করে রাখা হয়, প্রয়োজন মতো সংস্থাগুলিকে সরবরাহ করা হয়। আমাদের চারটি অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে প্রথমে তিন জন কর্মী আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় দমকলে খবর দেওয়া হয়।’’
বছর তিনেক আগে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে রুইয়া এলাকাতেই একটি রঙের কারখানায় রাতে আগুন লাগে। সেবারও দমকল আগুন নেভাতে নেভাতেই কারখানাটি ছাই হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে একটি অফিস ও স্টোর রুমে থাকা অপটিক ফাইবার তার, আবরণ ও অন্য সরঞ্জাম পুড়ে যায়। পুড়ে যায় একটি লরি ও দু’টি লিফট মেশিনও। খোলা আকাশের নিচে বাকি জিনিস থাকায় সেগুলির কিছু বাঁচানো গিয়েছে। দমকল আধিকারিকেরা জানান, রাত থেকে একটানা এলোমেলো হাওয়ার জন্য আগুন নেভাতে সময় লেগেছে। তা ছাড়া তারের আবরণ প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস দিয়ে তৈরি হওয়ায় সেগুলি দাহ্য। তাই আগুন দ্রুত ছড়ায়। গুদামের অফিসে থাকা জরুরি কাগজপত্র সব পুড়ে গিয়েছে বলে দাবি সুনীলবাবুর। তিনি বলেন, ‘‘ক্ষতি অনেকটাই হয়েছে। তবে আমরা সামলে নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy