Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

বহু টাকা খরচ করে বসিরহাটে তৈরি হতে চলেছে তিনশো শয্যার সুপার মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত সোমবার পঞ্চমীর দিন এ বিষয়ে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির একটি বৈঠক হয়।

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৩৫
Share: Save:

বসিরহাটে অত্যাধুনিক হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

বহু টাকা খরচ করে বসিরহাটে তৈরি হতে চলেছে তিনশো শয্যার সুপার মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত সোমবার পঞ্চমীর দিন এ বিষয়ে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির একটি বৈঠক হয়। হাসপাতাল সুপার জানান, মাস খানেক আগে জেলা হাসপাতাল চত্বরেই এই নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রশাসন জানায়, ইতিমধ্যে টাকার অনুমোদনও মিলেছে। বৈঠকে জেলাশাসক সঞ্জয় বনসল, সাংসদ ইদ্রিস আলি, বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক এটিএম আব্দুল্লা রনি, ফুটবলার তথা তৃণমূল নেতা দীপেন্দু বিশ্বাস, পুরপ্রধান, সুপার-সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ইদ্রিস বলেন, “এখন থেকে জেলা হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে কোনও রকম অভিযোগ উঠলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উন্নত পরিষেবার জন্য, বিশেষ করে সুন্দরবন এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য বসিরহাটে অত্যাধুনিক এই হাসপাতাল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব পুরপ্রধান নিয়েছেন, সে কথা জানিয়ে সাংসদ বলেন, “হাসপাতালের মধ্যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা তা বরদাস্ত করা হবে না। রোগীকল্যাণ সমিতির হয়ে দীপেন্দু সে সব দেখাশোনা করবেন। কাজ কেমন চলছে, সে বিষয়ে নজর রাখতে প্রতি মাসে একবার করে বৈঠক হবে।” বসিরহাট জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক পুষ্পেন্দু সেনগুপ্ত বলেন, “অত্যাধুনিক এই হাসপাতাল তৈরি করতে কয়েক কোটি টাকা খরচ হবে। পরিকল্পিত হাসপাতালটি হলে এক ছাদের তলায় সমস্ত রকম পরিষেবা মিলবে।” ওই দিনই ইদ্রিস তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১০ লক্ষ টাকা দেন। এ ছাড়া, যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির জন্য ও হাসপাতালের উন্নয়নকল্পে আরও ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে নির্যাতিতা বধূ

নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে এক বধূকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দীর্ঘ ক্ষণ গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল। পরে তাঁকে ও তাঁর প্রেমিককে ধরে এনে বিকেল পর্যন্ত মহিলার শ্বশুরবাড়িতে তালা দিয়ে আটকে রাখে গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি বনগাঁর পাইকপাড়ার। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তেত্রিশের ওই মহিলার দু’টি ছেলে আছে। স্বামী চাষবাস করেন। তাঁদের পাকা বাড়ির বারান্দায় গ্রিল দেওয়া। বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, ওই গ্রিলে তালা দিয়ে বারান্দায় মহিলা ও তাঁর প্রেমিককে আটকে রাখা হয়েছে। বাড়ির সামনে বহু মানুষের ভিড়। এলাকার মানুষের বক্তব্য, মহিলার সঙ্গে এলাকার ওই যুবকের দীর্ঘ দিন ধরে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে। অতীতে তা নিয়ে একাধিক বার এলাকায় সালিশিও হয়েছিল। তারপরেও দু’জনের যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দাবি, বুধবার গভীর রাতে ওই মহিলাকে জানালার বাইরে থেকে তাঁর প্রেমিক ডাকেন। মহিলার স্বামীও পেছন পেছন বাইরে আসেন। অভিযোগ, মহিলার স্বামীকে দু’জনে মারধর করেন। চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে পড়েন। সকালে এলাকার মানুষ ও পরিবারের লোকেরা মহিলাকে প্রথমে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। প্রেমিককেও তাঁর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়। পরে দু’জনকে এক সঙ্গে তালা দিয়ে গ্রিল বন্দি করে রেখে দেওয়া হয়। মহিলার বাপের বাড়ি বাগদায়। মহিলার ভাই বনগাঁ থানায় ঘটনার কথা জানান। তিনি বলেন, “দিদিকে রাতে মারধরও করা হয়েছে।” মহিলার বাপের বাড়ির লোকের বক্তব্য, যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, সে জন্য আইন আছে। তা বলে গাছে বেঁধে মারধর করা হবে কেন? মারধরের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন গ্রামবাসীরা। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “মহিলার বক্তব্য ভিডিও রেকর্ড করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হবে।” ঘটনাস্থলের কাছেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি রহিমা মণ্ডলের বাড়ি। তিনি বলেন, “সারা দিন বাইরে ছিলাম। ঘটনার কিছু জানতাম না। খোঁজ নিচ্ছি।”

বেআইনি ডিজেল মজুত, আগুনে পুড়ে গেল বাড়ি

নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং

আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল বাড়ি। বাড়িতে মজুত ডিজেল থেকেই এই দুর্ঘটনা বলে অনুমান পুলিশের। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের কুমারশা গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের প্রচেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। পরে বারুইপুর থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জয় দাস নামে এক ব্যক্তি থাকেন ওই বাড়িতে। সস্ত্রীক বেআইনি ভাবে ডিজেলের ব্যবসা চালাতেন স্বামী-স্ত্রী। বাড়িতে প্রায় ২০০ লিটার ডিজেল মজুত করে রাখা ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই রাতে কোনও ভাবে মজুত করা তেলে আগুন লেগে যায়। সেখান থেকেই গোটা বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ক্যানিং থানার পুলিশ। পুলিশ ও সাধারণ মানুষের তৎপরতায় আগুন বেশি দূর ছড়াতে পারেনি। ঘটনার পর থেকে ওই দম্পতি নিখোঁজ। পুলিশ জানিয়েছে, কেন বাড়িতে তেলের অবৈধ কারবার চলত এবং তা কী কাজে লাগত, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুজোর পুরস্কার

নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ড হারবার

নাগরিক চেতনা নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে ডায়মন্ড হারবারের পাঁচটি পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হল। ডায়মন্ড হারবার বাসস্ট্যান্ডের পাশে এক অনুষ্ঠানে পুর এলাকার ৩৫টি প্রতিমার মধ্যে প্রথম স্থান পেয়েছে নাইয়াপাড়া সর্বজনীন। দ্বিতীয় হয়েছে লেলিননগর যুববৃন্দ, তৃতীয় নুনগোলা সর্বজনীন, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান পেয়েছে যথাক্রমে ব্যাঙ্কপাড়া ও পুরাতনবাজার সর্বজনীন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার, আইসি বিশ্বজিৎ পাত্র।

পথ-অবরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

দুষ্কৃতীদের ধরতে তল্লাশি চালানোর সময়ে নিরীহ মানুষের উপরে পুলিশি লাঠিচার্জের অভিযোগে পথ অবরোধ হল। বৃহস্পতিবার, খড়দহে। স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছু দুষ্কৃতীকে ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। তখন স্থানীয় ক্লাবের কিছু ছেলে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের তাড়া করে ও লাঠিচার্জ করে। প্রতিবাদে এ দিন সকাল দশটা থেকে দোপেড়িয়ায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন স্থানীয়দের একাংশ। তবে পুলিশ আধ ঘণ্টায় অবরোধ তুলে দেয়। এর জেরে কিছুক্ষণ যানজট হয়।

পানিফল তোলা হচ্ছে জল থেকে। স্বরূপনগরে নির্মল বসুর তোলা ছবি।

সামনেই ঝড়ের হুঁশিয়ারি। যতটুকু রোদ পাচ্ছেন,
কাজ এগিয়ে রাখতে চাইছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
শ্যামনগরে সজল চট্টোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE