Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
আজ পথে ২৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী

নদী পার হতে সমস্যা হবে না তো!

মুড়িগঙ্গা ভোগাবে না তো?রাজ্য সরকারের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে পরীক্ষা আজ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের সব ক’টি ব্লকেই সিট পড়েছে। প্রশাসনের তরফে সমস্ত রকম প্রস্তুতির আশ্বাস থাকলেও সাগরের দু’টি স্কুলে যে বারোশো তরুণ-তরুণীর সিট পড়েছে, তাঁরা চিন্তিত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ০২:১৪
Share: Save:

মুড়িগঙ্গা ভোগাবে না তো?

রাজ্য সরকারের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে পরীক্ষা আজ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের সব ক’টি ব্লকেই সিট পড়েছে। প্রশাসনের তরফে সমস্ত রকম প্রস্তুতির আশ্বাস থাকলেও সাগরের দু’টি স্কুলে যে বারোশো তরুণ-তরুণীর সিট পড়েছে, তাঁরা চিন্তিত। সচরাচর এ ধরনের পরীক্ষার সিট সাগরে পড়ে না। কারণ, ভেসেলে মুড়িগঙ্গা পেরিয়ে যেতে হয় সাগরে। এক ঘণ্টা পর পর ভেসেল পরিষেবায় কতজন পরীক্ষার্থী ঠিক মতো যাতায়াত করতে পারবেন, তা নিয়ে খানিকটা চিন্তা রয়েই গিয়েছে।

পরীক্ষা প্রস্তুতির বৈঠকে প্রশাসন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবহণ দফতরকে বার বার বলা হয়েছিল, যাতে কিছু বাড়তি ভেসেল কাকদ্বীপ-সাগর রুটে দেওয়া যা। সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত ১৫ মিনিটের ব্যবধানে যাতে চালানো যায় ভেসেল। কিন্তু কোনও বাড়তি ভেসেল শুক্রবার পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি। তাই প্রশাসনের দাবি, ন্যূনতম ৩০ মিনিটের ব্যবধানে ভেসেল চালানো হবে।

কিন্তু ওই রুটে নিয়মিত ভাবে চলাচল করে ৩টি ভেসেল। সংরক্ষিত থাকে দু’টি। শনিবার ভাটার প্রভাব না পড়ারই কথা। পরিবহণ কর্মীরা বলছেন, তিনটি ভেসেল টানা পরিষেবা দিলেও ১ ঘণ্টার ব্যবধানে চলবে। তার সঙ্গে সংরক্ষিত আরও দু’টি ভেসেল নামিয়ে দিলে তা নেমে দাঁড়াবে ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে। অর্থাৎ, কোনও পরীক্ষার্থীরা একটি ভেসেল মিস করলে তাঁকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।

পরিবহণ নিগমের এমডি নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘‘ভাটা না হলে ভেসেল স্বাভাবিক চলবে। কত সময়ের ব্যবধানে চলবে, তা প্রশাসনের দেওয়া সূচি অনুসারে আমরা ঠিক করেছি।’’

সুন্দরবন জেলা পুলিশের তরফেও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জানানো হয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন মহিলা পুলিশ-সহ দু’জন সশস্ত্র রক্ষী থাকবেন।

ডায়মন্ড হারবার ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার মোড়ে, স্টেশনে, জেটিঘাটে প্রশাসনের লোকজন থাকবেন। পথ নির্দেশিকা থেকে পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। কোনও পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষেও বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র থানা থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া-আসার সময়ে দু’জন করে আর্মড পুলিশ থাকবে। রাস্তায় পুলিশের টহল থাকবে। এ ছাড়াও, থানায় থানায় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স মোতায়েন থাকছে। রাস্তায় থাকছে বাড়তি ট্রাফিক পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি, যেমন বারাসত, বনগাঁ, হাবরা, বসিরহাট স্টেশনের কাছে পুলিশ কর্মীরা থাকবেন। পরীক্ষার্থীদের যাতে ওই সব স্টেশনে নেমে দূরের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধা না হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Group D Examination River
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE