বারুইপুরে বিষাক্ত চোলাই মদ খেয়ে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আবগারি অফিসারকে বরখাস্ত করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
পুলিশ জানায়, বিষমদ-কাণ্ডে শেখ সুলতান নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, সুলতানই এই ঘটনার মূল পাণ্ডা। রবি ও সোমবার মিলিয়ে বারুইপুর থানার ঘোলাবাজার এলাকায় মনোরঞ্জন ওরফে ক্যাবলা নামে এক মদ ব্যবসায়ীর ভাটি থেকে চোলাই খেয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ধৃত সুলতানই ওই ভাটিতে চোলাই সরবরাহ করত।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সরকারি ভাবে এখনও পাঁচ জন বিষমদে মারা গিয়েছেন বলে প্রমাণিত। বাকিদের দেহ ময়না-তদন্তের আগেই সৎকার করে ফেলায় খাতায়-কলমে সেগুলিকে বিষমদে মৃত্যু বলা যাচ্ছে না। তা ছাড়া, মৃতদের পরিবারের তরফে পুলিশে কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সুলতানের বিরুদ্ধে চোলাই বিক্রির অভিযোগ আছে। ওই অভিযোগে একাধিক বার গ্রেফতারও হয়েছে সে। জেল থেকে বেরিয়ে ফের চোলাইয়ের ব্যবসা শুরু করে সুলতান।
পুলিশ জানায়, শুধু বারুইপুর নয়, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পৈলান থেকে চোলাই নিয়ে বিভিন্ন এলাকার ভাটিতে সরবরাহ করত সুলতান। মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার আর এক শাগরেদ রাজু পলাতক। এক বার বন্ধ হওয়ার পরেও ঘোলাবাজারের ভাটি ফের চালু হওয়ার বিষয়ে আবগারি ও পুলিশের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয়েরা। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর বলেন, ‘‘অতিরিক্ত জেলাশাসক তদন্ত করছেন। আপাতত ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা আবগারি অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সুলতানের কাজকর্মও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy