Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ব্যর্থ অপহরণের চেষ্টা, ধৃত দুই

বাজারের মধ্যে যানজটে আটকে জোরে জোরে হর্ন দিচ্ছিল একটি গা়ড়ি। তার ভেতর থেকেই ভেসে আসছিল একটি কিশোরী কন্ঠের ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুলপি শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০১:৫৮
Share: Save:

বাজারের মধ্যে যানজটে আটকে জোরে জোরে হর্ন দিচ্ছিল একটি গা়ড়ি। তার ভেতর থেকেই ভেসে আসছিল একটি কিশোরী কন্ঠের ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার।

ঘটনাস্থল: শনিবারের বিকেলে বারুইপুরের সূর্যপুর মোড় এলাকার হাট। কিশোরীর চিৎকার শুনে গাড়িটিকে আটকায় স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর যায় বারুইপুর থানায়। এই ভাবেই ব্যর্থ হল এক কিশোরীকে অপহরণ করার চেষ্টা।

পুলিশ আসার আগে ওই গাড়ি থেকে দুষ্কৃতীরা পালানোর চেষ্টা করলে দু’জনকে ধরে ফেলে জনতা। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ফিরোজ মোল্লা ও রাজ আচার্য। তাদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ এলাকায়। ধৃতদের রবিবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ফিরোজ মোল্লা আগে কুলপির দক্ষিণ গাজিপুর গ্রামের দয়ারমপুর এলাকায় থাকত। সেই সুবাদেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক কিশোরীর সঙ্গে বছর চব্বিশের বিবাহিত যুবক ফিরোজের আলাপ ছিল। ফিরোজের বাবার বিরুদ্ধেও নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। বছর কয়েক আগে তার বাবা খুন হয়ে যায়। তার পর সে দয়ারামপুর ছেড়ে খড়দহে চলে যায়। তবে এলাকা ছেড়ে গেলেও সে মাঝে মধ্যে দয়ারামপুরের ওই কিশোরীকে কটূক্তি করত। তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ওই কিশোরী তার ভাইপোকে স্কুলে দিতে যায়। স্কুলের কাছেই একটি গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল ফিরোজ। কিশোরীটি স্কুলের কাছে পৌঁছতেই তার মুখে রাসায়নিক লাগানো রুমাল চেপে ধরা হয়। সে জ্ঞান হারালে তাকে গাড়িতে বসিয়ে চম্পট দেয় তারা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা মোটরবাইক নিয়ে গাড়িটি ধাওয়া করেন। কিন্তু দ্রুতগতিতে থাকা গাড়িটিকে তাঁরা ধরতে পারেননি। এরপর গাড়িটি সিদ্ধিবেড়িয়া মোড় হয়ে দক্ষিণ বিষ্ণুপুর মোড় থেকে কুলপি রোড দিয়ে কলকাতার দিকে পালানোর চেষ্টা করে। রাস্তার মধ্যে বারুইপুরের সূর্যপুর মোড়ের কাছে যানজটে আটকে যায় গাড়িটি। ব্যর্থ হয় কিশোরী অপহরণের চেষ্টা।

ওই কিশোরীর কাকা এবাদুল হক মোল্লার দাবি, আমাদের বাড়ির মেয়েকে অপহরণ করে বিক্রির ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পলাতক দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kidnap Baruipur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE