অনেকটা অংশেই রাস্তা চওড়া হয়েছে, তবুও যানজট থেকে মুক্তি মিলছে না যশোর রোডে। মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় চলছে আন্ডারপাস তৈরির কাজ। তার জন্য রাস্তা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই যানজট বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হলেও রয়েছে অটো, টোটো, ভ্যানরিকশার সমস্যা। নিষেধ সত্ত্বেও জাতীয় সড়কের উপরেই উঠে পড়ছে তারা। তা সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে ট্র্যাফিক কর্মীদের। বারাসত থেকে বিমানবন্দরের ১ নম্বর গেট পর্যন্ত মাত্র ৯ কিলোমিটার পথ পেরোতে লেগে যাচ্ছে এক ঘণ্টারও বেশি সময়।
ওই রাস্তায় চলতে প্রথমেই ধাক্কা খেতে হচ্ছে মধ্যমগ্রামে। এখানে চৌমাথা আটকে তিন ধাপে ৫৭ মিটার দীর্ঘ আন্ডারপাসের কাজ চলছে। তাই রাস্তাকে বাঁ দিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে চার দিক থেকে আসা যানবাহন সামলাতে হিমসিম অবস্থা ট্র্যাফিক পুলিশের। লেগে রয়েছে তীব্র যানজট। রাজ্য সরকার ও বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার তহবিলের ৫ কোটি টাকায় তৈরি হচ্ছে ওই আন্ডারপাসটি। এলাকার বিধায়ক ও মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ বলেন, ‘‘খুব দ্রুত কাজ চলছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।’’
কিন্তু শুধু এই কারণ নয়, কিছু দিন বন্ধ থাকলেও ফের যশোর রোডের উপরে উঠে আসছে টোটো, অটো, রিকশা। তাদের পিছনে পড়ে থাকছে দ্রুত গতির যানবাহন। ধীর লয়ে চলতে চলতে অটো-টোটোর দাপটে লেগে থাকছে তীব্র যানজট। ওই এলাকা ছাড়িয়ে দোলতলা মোড়ে দু’ভাগ হওয়া যশোর রোড সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা ট্র্যাফিক পুলিশের। ফলে সেখানেও দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
রয়েছে আরও সমস্যা। বিরাটি মোড় আর বিমানবন্দর আড়াই নম্বর গেটের মাঝখানে বিমানবন্দরের ভিতর দিয়ে ভিআইপি রোডে যাতায়াতের একটি বাইপাস রয়েছে। যশোর রোডের যানবাহনকে আটকে আলাদা আলাদা করে ওই বাইপাসে এক বার আপ, এক বার ডাউনের গাড়ি ছাড়া হচ্ছে। এর জন্য ভিআইপি রোডে যাতায়াতকারী গাড়ি ছাড়াও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে নাগেরবাজার হয়ে দমদম, লেকটাউন, বাঙুর বা বেলগাছিয়া যাওয়ার যানবাহনকেও।ওই এলাকার নিত্য যাত্রীদের কথায়, বিয়ে, হজ, কোনও সামাজিক বা কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকলে যানবাহন বেড়ে যায়। আরও ভয়ঙ্কর চেহারা নেয় রাস্তা।
এ সব সমস্যার ব্যাপারে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মধ্যমগ্রাম মোড়ের মতো জায়গায় রাস্তায় কাজ চলার জন্য একটি পাশ বন্ধ করে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তার জন্য যানজট হচ্ছে। ট্র্যাফিকের নজরদারিও বাড়ানো হচ্ছে।’’
পাশাপাশি, আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা সিদ্ধার্থ রায় বলেন, ‘‘টোটো বাতিল হয়ে গিয়েছে। ই-রিকশাও যাতে যশোর রোডে না ওঠে, সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আরও ধরপাকড় শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy