প্রতিবাদ: বন্ধ বাজার। নিজস্ব চিত্র
শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের সামনে বসেছিল মদের আসর। প্রতিবাদ করেন এক তৃণূমল নেতা। অভিযোগ, তার জেরে পরিবারের উপরে হামলা চালায় দুই দুষ্কৃতী। স্ত্রীর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়। মারধর করা হয় বৃদ্ধা মাকে। ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে হামলাকারীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে হাসনাবাদের ভান্ডারখালি গ্রামে। প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার দোকানপাট বন্ধ রেখে বন্ধ পালন করেন ভান্ডারখালি বাজারের ব্যবসায়ীরা। দোষীদের শাস্তি ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার দাবিতে বৃহস্পতিবার হাসনাবাদ থানায় বিক্ষোভ দেখান ব্যবসায়ীরা। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আক্রান্ত অমিতাভ অধিকারী দুলদুলি এলাকার তৃণমূল নেতা। ভান্ডারখালি বাজার কমিটির সম্পাদকও তিনি। ওই বাজারে বইয়ের দোকান আছে তাঁর। অমিতাভবাবুর অভিযোগ, বুধবার সকাল তখন সবে সাড়ে ৯টা। বাজারের পাশে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের লোকজন এসে তাঁকে জানান, কেন্দ্রের সামনে বসে মদ খাচ্ছে কয়েকজন। পাশেই বাচ্চাদের মিড ডে মিল রান্না চলছিল। মদ্যপদের হই হট্টগোলে ভয় পাচ্ছিল শিশুরা।
দোকান থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন অমিতাভবাবু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওই যুবকদের বলি, স্কুলের সামনে না বসে অন্যত্র উঠে যেতে। তখনকার মতো চলেও যায় ছেলেরা। কিন্তু এটাই ছিল আমার অপরাধ।’’
দুপুরে বাড়ি চলে যান ওই তৃণমূল নেতা। স্নান-খাওয়া সেরে দলের বৈঠকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। অভিযোগ, সে সময়ে বাড়িতে চড়াও হয় দুই দুষ্কৃতী। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, দা ছিল। অমিতাভবাবুর কথায়, ‘‘ওরা গালিগালাজ করতে করতে ঘরে ঢুকে পড়ে। আমার তিরাশি বছরের বৃদ্ধা মাকে লাথি মারে। স্ত্রীর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করে। পাড়ার লোক বেরিয়ে এলে পালায়।’’ ওই তৃণমূল নেতার আরও অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরে ২০–২৫ জন জড়ো হয়ে তাঁর দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে নানা ভাবে হুমকি দেয়। অমিতাভবাবুর দাবি, মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করাতেই দুষ্কৃতীদের এ হেন তাণ্ডব।
অমিতাভবাবুর অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা লিয়াকত আলি ও তাঁর এক সঙ্গী ছিলেন হামলার মূলে। লিয়াকত দাবি করেছেন, পুরনো বিবাদের জেরে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy