Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
বারাসত মাতৃসদন

দু’ বার শিলান্যাস, অবশেষে কাজ শুরুর আশ্বাস পুরসভার

কলকাতার হাসপাতালগুলির উপরে চাপ কমানোর জন্য প্রতিটি পুরসভায় একটি করে মাতৃসদন পরিকল্পনা হয়েছিল বহু দিন আগে। সেইমতো রাজ্যের অধিকাংশ পুরসভায় তৈরি হয়েছে মাতৃসদন। ব্যতিক্রম বারাসত পুরসভা। বাম এবং তৃণমূল আমলে দু-দু’বার মাতৃসদনের শিলান্যাস হলেও তা পড়ে রয়েছে।

অসমাপ্ত কাজ। ছবি:সুদীপ ঘোষ

অসমাপ্ত কাজ। ছবি:সুদীপ ঘোষ

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১৯
Share: Save:

কলকাতার হাসপাতালগুলির উপরে চাপ কমানোর জন্য প্রতিটি পুরসভায় একটি করে মাতৃসদন পরিকল্পনা হয়েছিল বহু দিন আগে। সেইমতো রাজ্যের অধিকাংশ পুরসভায় তৈরি হয়েছে মাতৃসদন। ব্যতিক্রম বারাসত পুরসভা। বাম এবং তৃণমূল আমলে দু-দু’বার মাতৃসদনের শিলান্যাস হলেও তা পড়ে রয়েছে। সমস্যার কথা মানছেন বারাসত পুর-কর্তৃপক্ষ। কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

বারাসত সংলগ্ন নিউ ব্যারাকপুর কিংবা মধ্যমগ্রামের মতো পুরসভাগুলিতে মাতৃসদন তৈরি হয়েছে অনেক আগেই। এলাকার গরিব, মধ্যবিত্ত মানুষ নানা সমস্যায় সেখানে যান। ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা নিয়ে ওই সব এলাকা থেকে কলকাতায় আসা রোগীর সংখ্যাও কমেছে। সংলগ্ন অশোকনগর-কল্যাণগড় পুর এলাকায়ও রয়েছে মাতৃসদন। ব্যতিক্রম বারাসত।

দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে বাম আমলে বারাসত পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের দ্বিজহরিদাস নগরে একটি মাতৃসদনের শিলান্যাস হয়। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে জমি কিনে একতলায় কয়েকটি ঘরও হয়। কিন্তু ঘরগুলি পড়ে থেকে সিমেন্ট খসে বেহাল অবস্থায় এখন। সামনে গজিয়ে উঠেছে দোকানপাট।

বারাসত পুরসভা সূত্রে খবর, বাম আমলে পুরসভার অর্থে হাসপাতাল ভবনের কিছুটা তৈরি হলেও কাগজে কলমে জমি এবং হাসপাতালের মালিকানা ছিল ব্যক্তিগত নামে। বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুরসভার ক্ষমতায় এসে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন হাসপাতালটি পুরসভার নামে নথিভূক্ত করি। গিয়ে দেখি, যতটা কাজ হয়েছিল তাও বেহাল দশায়। এর পরেই নতুন করে হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা নিই।’’

‘ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন’ প্রকল্পে ওই হাসপাতাল তৈরি করতে উদ্যোগী হয় পুরসভা। গত বিধানসভা ভোটের আগে মাতৃসদনটি দ্বিতীয়বার শিলান্যাস করেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। কিন্তু এত দিন পেরিয়ে গেলেও কাজ শুরু হল না কেন? কাকলিদেবী বলেন, ‘‘ওই প্রকল্পে নিয়ম মেনে আবেদন করতে সময় লেগেছে। সে সব কাজ এখন শেষ। অনুমোদনও মিলেছে। শীঘ্রই ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে।’’

বারাসত পরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্বাস্থ্য প্রকল্পে ইতিমধ্যে ৭৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। হাসপাতালের ভবন নির্মাণ ও অন্যান্য কাজকর্মের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্রও ছাড়া হয়েছে। সুনীলবাবুর কথায়, ‘‘কয়েক দিনের মধ্যেই কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হবে। খুব দ্রুত কাজ শেষ করে হাসপাতালের পরিষেবা মানুষ যাতে পেতে পারেন সে ব্যাপারে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Foundation stone Matri Sadan Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE