প্রতীকী চিত্র
কোলে রুগ্ণ শিশুকে নিয়ে কেউ ভিক্ষা চাইতে এলেই বিভ্রান্ত হবেন না। হতে পারে, ওই দুধের শিশু আদৌ মহিলার নয়, ঘণ্টা হিসাবে ভাড়ায় নেওয়া হয়েছে!
শুধু এ ভাবে নয়, শিশু চুরির পরে তার চোখে লোহার গরম শিক ঢুকিয়ে অন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেকের পা কেটে প্রতিবন্ধী করে ফেলে রাখা হয় মন্দির, মসজিদের সামনে। পাচার হওয়া শিশুদের কিডনি বের করে বেচে দেওয়া হয় অনেক সময়ে।
সোমবার বিকেলে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ ও মহিলা থানার উদ্যেগে শিশু ও নারীপাচার নিয়ে আলোচনা সভায় এমনই সব তথ্য শোনালেন মহিলা থানার ওসি পিঙ্কি ঘোষ। আরও জানান, এজেন্ট মারফত শিশু পাচার হতে পারে। প্রলোভন দেখিয়েও শিশু পাচার হচ্ছে। ভয় দেখিয়ে, প্রেমের টোপ দিয়ে, বিয়ের প্রস্তাব দিয়েও পাচারের ঘটনা ঘটছে।
তাঁর কথায়, ‘‘দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে উদ্ধার হওয়া মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, ৩০-৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় ওই শিশু, মহিলাদের। তারপরে শুরু হয় শারীরিক অত্যাচার। ঠিকমতো খেতেও দেওয়া হয় না। পুলিশ জানিয়েছে, হরিয়ানার মতো রাজ্যে একটি বাড়িতে ৩-৪ জন পুরুষের হাতে এক জন মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতদিন তাঁর উপরে চলে ভয়ঙ্কর অত্যাচার।
শিশু ও নারী পাচার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে স্কুলে স্কুলে গিয়ে ক্যাম্প করা হচ্ছে। স্কুলের মেয়েদের গোপন সমস্যা জানানোর জন্য অভিযোগ বাক্স রাখা হয়েছে। যেখানে মেয়েরা নিজেদের সমস্যা জানাতে পারবে। বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মহিলাদের মতে, নারী পাচারকে বিনা পুঁজির ব্যবসা করে তুলেছে এক শ্রেণির দুষ্কৃতী। স্কুল ছুটির আগে-পড়ে মোটরবাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি করে তারা।
ছাত্রীদের প্রেমের টোপ দিয়ে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অন্য রাজ্যে বিক্রি করে দেয়। রাস্তাঘাটে ট্রেনে বাসে অপরিচিত কেউ যদি কিছু খেতে দেয়, তা হলে না খেতে নিষেধ করছে পুলিশ।
ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ জেলা সুপার শ্রীহরি পাণ্ডে বলেন, ‘‘সজাগ থাকুন। সমস্যা দেখা দিলেই পুলিশকে জানান।’’ ডায়মন্ড হারবারের জেলা হাসপাতালের সুপার আনোয়ার হোসেন, আইসি গৌতম মিত্র, বিধায়ক দীপক হালদার, পুরপ্রধান মীরা হালদার, ডায়মন্ড হারবারের ১ বিডিও ইয়ামিন বারিও ছিলেন অনুষ্ঠানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy