কলকাতার সৌন্দর্যায়ন শুরু হয়েছে আগেই। এ বার ধীরে ধীরে সৌন্দর্যায়ন ও নিরাপত্তায় নজর দেওয়া শুরু করল দক্ষিণ শহরতলির বজবজ পুরসভা। উচ্চ বাতিস্তম্ভে এলইডি আলো লাগানো, ঝিল সংস্কার, পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়াতে বজবজ জুড়ে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত।
রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্যে কলকাতার সৌন্দর্যায়নের সিংহভাগই করে কলকাতা পুরসভা। বজবজ পুর এলাকার রাস্তাঘাট থেকে হাসপাতাল, পুরভবন থেকে ফেরিঘাট— সংস্কার হলেও সৌন্দর্যায়নে খামতি ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের কথায়, বাতিস্তম্ভ বসানো হলেও কোথাও আলো ভেঙে গিয়েছে। কোথাও বাল্ব থাকলেও আলো জ্বলে না। তাই এ বার সৌন্দর্যায়ন ও নিরাপত্তায় গুরুত্ব দিচ্ছে পুরসভা।
গৌতমবাবু জানান, বজবজের চড়িয়াল-সহ গুরুত্বপূর্ণ ১২টি মোড়ে উচ্চ বাতিস্তম্ভ বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আলো দিয়ে পুর এলাকা সাজানোর কাজে বেছে নেওয়া হয়েছে তিন হাজার বাতিস্তম্ভ। যেগুলির কোনওটিতে টিউব লাইট রয়েছে তো কোথাও বাল্ব। সেগুলি বদলে লাগানো হবে এলইডি বাল্ব। তাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি জোরালো আলো হবে। বজবজ পুরসভার এক কর্তা জানান, এ কাজ শেষ হলে রাতে বজবজের চেহারাই বদলে যাবে।
এ ছাড়া পুরসভার আওতায় থাকা আটটি বড় ঝিলের সৌন্দর্যায়ন করবে পুরসভা। ঝিলের ধারে তৈরি করা হবে বসার ব্যবস্থা। নিরাপত্তা বাড়াতে বজবজের পুরভবন, শ্মশানঘাট, হাসপাতাল এবং ট্রাক টার্মিনাল চত্বরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। গোটা প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে ১ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এই টাকা দিচ্ছে বলে জানান গৌতমবাবু।
তা সত্ত্বেও সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বাসিন্দাদের বড় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ঝাউতলা ফেরিঘাট থেকে মেন রাস্তায় পৌঁছতে যে সরু রাস্তা পেরোতে হয় সেখানকার অধিকাংশ বাতিস্তম্ভের আলো ভাঙা থাকে বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, নতুন আলো লাগানোর দিন কয়েকের মধ্যেই তা ভেঙে দেয় কেউ। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পুরসভাকে অভিযোগও জানানো হয়েছে। তাই এলাকাবাসীর দাবি, বজবজের গুরুত্বপূর্ণ এলাকার পাশাপাশি এমন সঙ্কীর্ণ রাস্তাগুলির দিকেও নজরদারি রাখা উচিত পুর কর্তাদের। পুরসভার তরফে আশ্বাস, পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy