Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাড়িতে নেই শৌচাগার, ভোরে উঠে বাঁশবাগানে বদনা হাতে ছুট

ভোর হতেই গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ বাড়ি থেকে মাঠে চলে যান। তবে প্রাতঃভ্রমণ করার জন্য নয়, প্রাতঃকৃত্য সারতে! দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে গোটা জেলাকে উন্মুক্ত শৌচবিহীন বলে ঘোষণা করার কথা।

অঙ্কন: নির্মাল্য প্রামাণিক।

অঙ্কন: নির্মাল্য প্রামাণিক।

দিলীপ নস্কর
মন্দিরবাজার শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১৫
Share: Save:

ভোর হতেই গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ বাড়ি থেকে মাঠে চলে যান। তবে প্রাতঃভ্রমণ করার জন্য নয়, প্রাতঃকৃত্য সারতে!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে গোটা জেলাকে উন্মুক্ত শৌচবিহীন বলে ঘোষণা করার কথা। কিন্তু মন্দিরবাজার ব্লকের জগদীশপুর পঞ্চায়েতের দিগবেড়িয়া, হালদারপাড়া, মিস্ত্রি পাড়া এলাকায় এখনও ভোর হলেই মাঠ এবং বাঁশবাগানে শৌচকাজের জন্য ভিড় করছেন অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিশ্রুতি দেওয়াছ হলেও প্রশাসন তাঁদের বাড়িতে শৌচাগার তৈরি করে দেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা বাড়ি সংলগ্ন মাঠ অথবা বাঁশবাগানে শৌচ সারছেন।

দিন কয়েক আগে স্থানীয় দিগবেড়িয়ার মতিলালমোড় এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, গ্রামের মোড়ে মোড়ে ‘নির্মল বাংলা’র পোস্টার লাগানো। কোনওটায় লেখা, ‘বাড়িতে শৌচাগার বানান’, আবার কোনওটায় ‘পরিবারের সবাই শৌচালয় ব্যবহার করুন’। সেখান থেকে কিছুটা এগিয়ে মিস্ত্রি পাড়ায় ঢুকে দেখা গেল, কয়েকজন যুবক আড্ডা মারছেন। ‘বাড়িতে শৌচালয় রয়েছে?’’— এই প্রশ্ন করতেই একজন জানালেন, প্রায় ছ’মাস আগে ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে শৌচাগার তৈরির জন্য গ্রামের কয়েকজন টাকা জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু শৌচাগার এখনও তৈরি হয়নি। তাই ভরসা বাঁশবাগান। ওই এলাকার বাসিন্দা কানন হালদারের ক্ষোভ, ‘‘সরকারি নিয়ম মেনে নির্মল বাংলা প্রকল্পে বাড়িতে শৌচালয় তৈরির জন্য আবেদন করেছিলাম। নিয়ম মতো ৯০০ টাকা জমাও দিয়েছিলাম। কিন্তু এখনও শৌচাগারের ছাউনির দু’টি টিন ছাড়া আর কিছু পাইনি।’’

পুরো বিষয়টি শুনে মন্দিরবাজারের বিডিও অচিন্ত্য ঘোষ বলেন, ‘‘এ বিষয়ে এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Toilets
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE