Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

হুমকি দিয়ে টাকা আদায়, ধৃত ছয়

পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার দুপুরে ছ’জনকেই গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা হল সোনারপুরের বাসিন্দা সাবির আলি মণ্ডল এবং তার স্ত্রী মৌসুমি মণ্ডল, তপসিয়ার বাসিন্দা নেহা খাতুন ও পিঙ্কি খাতুন, তিলজলার বাসিন্দা শেখ সঞ্জয় ও গজনী। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই জেরার মুখে তাদের অপরাধ কবুল করেছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০২:০৫
Share: Save:

নিজের ডিম্বাণু বিক্রি করতে চেয়ে এক এজেন্টকে ফোন করেছিলেন বছর কুড়ির এক তরুণী। বলেছিলেন, দেখা করতে চান ওই বিষয়ে
কথাবার্তা বলতে। সেই মতো এক দিন দেখা হয় দু’জনের। কিন্তু ডিম্বাণু বিক্রি তো দূর, সেই এজেন্টকে আটকে রেখে তাঁর কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল ওই মহিলা-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে। গত ২৭ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনায় ছয় অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করল তপসিয়া থানার পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার দুপুরে ছ’জনকেই গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা হল সোনারপুরের বাসিন্দা সাবির আলি মণ্ডল এবং তার স্ত্রী মৌসুমি মণ্ডল, তপসিয়ার বাসিন্দা নেহা খাতুন ও পিঙ্কি খাতুন, তিলজলার বাসিন্দা শেখ সঞ্জয় ও গজনী। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই জেরার মুখে তাদের অপরাধ কবুল করেছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, দমদম রোডের বাসিন্দা এক মহিলা তপসিয়ার একটি ক্লিনিকে এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। সেই ক্লিনিকে ডিম্বানু কেনাবেচা হয়। ওই এজেন্টকে এক দিন ফোন করে নেহা। সে নিজেকে ঘুটিয়ারি শরিফের বাসিন্দা জনৈক মিনু বলে পরিচয় দেয়। তার পরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা নাগাদ পার্ক সার্কাসের চার নম্বর ব্রিজের কাছে সেই এজেন্টের সঙ্গে দেখা করে নেহা। তার সঙ্গে ছিল আরও পাঁচ
জন। ওই মহিলাকে নিজেদের গাড়িতে তুলে নেয় তারা। এর পরেই তাঁকে গোটা কলকাতা শহর ঘোরানো শুরু হয়। ওই মহিলার কাছ
থেকে চল্লিশ হাজার টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বলা হয়, টাকা না পাওয়া গেলে তাঁকে গাড়ি থেকে নামতে দেওয়া হবে না। ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে ফোনে পুরো বিষয়টি জানান এবং টাকা নিয়ে আসতে বলেন। বিকেলে ময়দান মেট্রো স্টেশন এলাকায় নেহা ও
তার দলবলকে চল্লিশ হাজার টাকা দেওয়ার পরেই ওই এজেন্ট তাদের খপ্পর থেকে মুক্তি পান। এর পরে ২৯ সেপ্টেম্বর তপসিয়া থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন দমদম রোডের ওই মহিলা।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে, এই গোটা ঘটনার মূল চক্রী সোনারপুরের বাসিন্দা সাবির আলি মণ্ডল ও তার স্ত্রী মৌসুমি মণ্ডল। ওই এজেন্টের কাছে মোটা টাকা থাকতে পারে ধরে নিয়েই তারা এই পরিকল্পনা করেছিল বলে ধৃতেরা জেরায় কবুল করেছে। পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই চক্রটি অন্য কোনও জালিয়াতি কারবারের সঙ্গেও জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Arrested তপসিয়া
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE