জঞ্জাল: পরিষ্কার হয়নি ভ্যাট। শ্যামনগরে। —নিজস্ব চিত্র।
ডিজেতে বারণ ছিল। বারণ ছিল গঙ্গার ধারে ফুল বেলপাতা ফেলাতেও। বিশ্বকর্মা পুজোই হোক বা দুর্গা পুজোর ডিজে— গঙ্গা দূষণে নিয়ম ভাঙলে কড়া শাস্তির কথা জানিয়েছে ব্যারাকপুর মহকুমা প্রশাসন।
ব্যারাকপুরের ২৪টি ঘাটে বিশ্বকর্মা পুজোর পর দিন বিসর্জনের সময়ে ডিজেতে লাগাম থাকলেও গঙ্গার ধারে ফুল বেলপাতা ও পুজোর বাতিল সামগ্রী পড়েছে দেদার। তবে পুরসভাগুলি সতর্ক ছিল। গঙ্গায় ফুল, মালা, কাঠামো পড়লেও রাতারাতি তা অতিরিক্ত সাফাই কর্মীকে দিয়ে তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিন্তু বিশ্বকর্মা পুজোর পরে মহালয়ায় বহু মানুষ গঙ্গাঘাটে তর্পণ সেরেছেন। তা থেকেও আবর্জনা ছড়িয়েছে। গঙ্গার ঘাটে থাকা বাড়তি ভ্যাট উপচে পড়লেও তা পরিষ্কার করে উঠতে পারেনি এখনও বহু পুরসভা। বুধবার সকালে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের গঙ্গার ঘাটগুলির হাল ছিল এমনটাই। তবে আবর্জনা শীঘ্রই পরিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা। প্রতিটি ঘাটে আবর্জনা তোলার জন্য পুরসভাগুলি অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে সাফাই কর্মীকে কাজে লাগালেও বুধবার দুপুর পর্যন্ত ঘাটগুলি থেকে কেন আবর্জনার ভ্যাট সরানো গেল না?
ভাটপাড়ার উপ পুরপ্রধান সোমনাথ তালুকদার বলেন, ‘‘এখনও কোথাও কোথাও বিসর্জন বাকি। বুধবার রাতের মধ্যে সব বিসর্জন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে ঘাটগুলি ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে।’’ হালিশহর, কাঁচরাপাড়া পুর এলাকার গঙ্গার ঘাটগুলি থেকে কাঠামো তুলে নেওয়া হয়েছে। হালিশহরের পুরপ্রধান অংশুমান রায় বলেন, ‘‘প্রতিমায় যে রাসায়নিক রঙ থাকে, তা গঙ্গায় মিশলে ক্ষতি। আমরা প্রতিমা জলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তোলানোর ব্যবস্থা রেখেছি।’’
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গঙ্গার ঘাটগুলিতে কড়াকড়ির কারণে এ বার বিসর্জনে নিয়ম ভাঙার ঘটনা ঘটেনি। ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পীযূষ গোস্বামী বলেন, ‘‘এ বার বিশ্বকর্মা পুজোর বিসর্জন যতটা নিয়ম মেনে হয়েছে, এটা দুর্গা পুজোর সময় হলে খুব ভাল হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy