মারধর: দেগঙ্গায়। নিজস্ব চিত্র
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিল এক ব্যক্তি। সেই খবর জানাজানি হতেই শুরু হয় গণধোলাই। মারধরের পর জানা যায়, ওই ব্যক্তির একাধিক বিয়ের তথ্য।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে, দেগঙ্গার সোহায় শ্বেতপুর পঞ্চায়েতের খাঁপুর গ্রামে। জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত সফিকুল ইসলামকে ও ওই মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খাঁপুর গ্রামের ফতেমা বিবির সঙ্গে আঠারো বছর আগে মাটিয়া থানার কচুয়া গ্রামের পেশায় গাড়ি চালক সফিকুলের বিয়ে হয়ে। তাঁদের এক ছেলে চার মেয়েও রয়েছে। সফিকুলের শাশুড়ি আলেয়াবিবি এ দিন বলেন, ‘‘বুধবার জামাই এক মহিলাকে আমাদের বাড়ি নিয়ে আসে। ওই মহিলার পরিচয় জানতে চাইলে হুমকি দেয়।’’ রাতে ভয়ে কিছু না বলেও বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসীদের কাছে সব কথা খুলে বলেন আলেয়া। সফিকুল জানায়, সে মাটিয়া থেকে ওই মহিলাকে বিয়ে করবে বলে নিয়ে এসেছে। এ কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে বাপেরবাড়িতে আসেন ফতেমা। সফিকুলকে মারধর করে দড়ি দিয়ে লাইট পোস্টে বাঁধা হয়। এ দিন সন্ধ্যায় খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ অভিযুক্ত সফিকুল ও ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, সফিকুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ হয়েছে।
ফতেমার দাবি, ‘‘আমার স্বামী একাধিক বিয়ে করেছে। আমার উপরেও অত্যাচার করে। ছোট ছোট ছেলের মেয়ের কথা ভেবে মুখ বুঝে সহ্য করি। আমি চাই ওর উপযুক্ত শাস্তি হোক।’’ পুলিশের দাবি, সফিকুল স্বীকার করেছে যে সে চারটি বিয়ে করেছে। মাটিয়া থেকে ওই মহিলাকেও নিয়ে এসেছিল আবার বিয়ে করবে বলে। সে কথা ওই মহিলাও পুলিশকে জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy