Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ভাটাতেও চলবে ভেসেল, দাবি জেলা প্রশাসনের

বছর কয়েক আগেও গঙ্গাসাগর মেলায় যেতে পলিতে ভেসেল আটকে যাওয়া ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এ বার সেই সমস্যা হবে না বলেই দাবি করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। এ বছর মেলার কাজ পুরোদমে শুরুর আগেই প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে ড্রেজিংয়ের কাজ।

ড্রেজিং চলছে মুড়িগঙ্গা। নিজস্ব চিত্র।

ড্রেজিং চলছে মুড়িগঙ্গা। নিজস্ব চিত্র।

শান্তশ্রী মজুমদার
কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৩৩
Share: Save:

বছর কয়েক আগেও গঙ্গাসাগর মেলায় যেতে পলিতে ভেসেল আটকে যাওয়া ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এ বার সেই সমস্যা হবে না বলেই দাবি করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। এ বছর মেলার কাজ পুরোদমে শুরুর আগেই প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে ড্রেজিংয়ের কাজ। শুধু তাই নয়, গত বছরের থেকে অনেক কম খরচে বেশি জায়গায় ড্রেজিংয়ের কাজ করা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের মেলা পর্যন্ত ড্রেজিংয়ের জন্য মৎস্য দফতর থেকে একটি বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করা হতো। বছরের পর বছর ধরে ওই সংস্থাই কাজের বরাত পেয়ে আসছিল। কিন্তু ২০১৬ সালের মেলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অভ্যন্তরীণ জলপথ সংস্থাকে দিয়ে ড্রেজিংয়ের কাজ করানো শুরু হয়। তবে সে বার দেরিতে ড্রেজিং শুরু হওয়ায় সে রকম সুবিধা মেলেনি। মেলা চলাকালীন পলিতে ভেসেল আটকে ভুগতে হয়েছিল পুণ্যার্থীদের।

সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এ বছর ৫ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের অভ্যন্তরীন জলপথ সংস্থার পাঁচটি ড্রেজার কাজ শুরু করে দেয়। ড্রেজারগুলি মূলত কাকদ্বীপ লট ৮ ঘাট, কচুবেড়িয়া এবং বেণুবন এলাকায় কাজ করতে থাকে। জেলাশাসক পিবি সালিম বলেন, ‘‘আমরা ড্রেজিংয়ের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছি। যে এলাকা থেকে পলি কেটে তোলা হয়েছে, সেখানে জলের গভীরতা বজায় রাখার জন্য ড্রেজিংয়ের কাজ চলবে।’’ জেলা প্রশাসনের দাবি, ঠিক ভাবে ড্রেজিং হওয়ার জন্য এ বার ভাটার সময়েও যাত্রী ভর্তি ভেসেল যাতায়াত করতে পারবে। কাকদ্বীপ থেকে গাড়ি পারাপারেও অসুবিধা হবে না। ভেসেল চালক ও শ্রমিকদের ইউনিয়নের নেতা শক্তি মাইতি বলেন, ‘‘প্রথম দিকে পলি কাটার পরে সেগুলি জলেই ফেলা হচ্ছিল। তবে পরে সমস্যা হয়নি। আশা করছি, এ বার মেলার সময় লোক পারাপারে সমস্যা হবে না।’’

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ২০১৫ সালের মেলায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার কিউবিক মিটার পলিমাটি কাটতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১৯ কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৭ সালের মেলার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থার ড্রেজার দিয়ে গত বারের থেকে প্রায় এক লক্ষ কিউবিক মিটার বেশি মাটি কাটা হয়েছে। কিন্তু খরচ কমে এসেছে মাত্র সাড়ে ৯ কোটি টাকায়।জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, মেলার আয়োজক সংস্থা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও এ বার ড্রেজিং নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

low tide vessel
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE