এলাকার মসজিদে মসজিদে আজান পড়েন উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার পাঁচপোঁতার বাসিন্দা মুস্তাফা গায়েন। বুধবার আমডাঙার ১০টি বুথে যখন পুনর্নির্বাচন চলছে, তখন স্থানীয় যুবক তহিবুর গায়েনের (২৯) দেহ দাফন করে ধর্মীয় আচার পালন করছিলেন মুস্তাফা। সোমবার পাঁচপোতায় ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে বোমার আঘাতে খুন হন সিপিএম কর্মী তহিবুর। মুস্তাফা তহিবুরের বাবা।
ভোটের কথা জিজ্ঞাসা করতেই নিস্পৃহ গলায় মুস্তাফা বললেন, ‘‘ভোট নিয়ে আমাদের আর আগ্রহ নেই। ভোটই আমাদের সব কেড়ে নিয়েছে। যাঁর এই ক্ষতি হয়, শুধু সে-ই বোঝে এর যন্ত্রণা।’’
মুস্তাফার স্ত্রী তখন চার এবং দু’বছরের ছেলে দু’টিকে নিয়ে নাগাড়ে কেঁদে চলেছেন।
বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর হয়ে এ বারের ভোটে কাজ করছিলেন তহিবুর। সোমবার পাঁচপোতা এফপি স্কুলে ভোট চলাকালীন পরপর বোমা ফাটতে থাকে। সেই বোমায় গুরুতর জখম হন তহিবুর। কল্যাণীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা বোমা মেরে খুন করে তহিবুরকে। যদিও আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানের দাবি, বোমাবাজি করতে গিয়ে হাতে বোমা ফেটে তহিবুরের মৃত্যু হয়।
বুধবার সাব্বির আলি নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘ঘটনার পর থেকে নানা লোককে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ঠিকমতো ভোট হলে এখানে নির্দল প্রার্থী জিততেন। সেই জন্যই তহিবুরকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।’’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শেষ হয়নি।’’ এ দিন তহিবুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সিপিএম নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy