গাজনের মেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদ বাধল দু’পক্ষের। ঘটনাটি ঘটেছে হিঙ্গলগঞ্জের কানাইকাটি গ্রামে। বচসা থেকে হল মারামারি। জখম হলেন মামা-ভাগ্নে। স্থানীয় কনকনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। অভিযোগ, টাকা সংক্রান্ত বিবাদটা এখানে ঘটনার সূত্র মাত্র। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে সেটা আসলে রাজনৈতিক সংঘাত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মামা স্বপন মণ্ডল এবং ভাগনে উদয় বর্মন সুশান্ত মণ্ডল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা পেতেন। এ দিন সন্ধ্যায় পাড়ায় গাজনের মেলায় গিয়েছিলেন সুশান্ত। ভাগ্নে উদয়কে নিয়ে সেখানে যান মামা স্বপন মণ্ডলও। সেখানেই সুশান্তকে দেখে পাওনা টাকাটার কথা তাঁকে আরও একবার মনে করিয়ে দেন স্বপন-উদয়। হাটের মাঝে টাকা চাওয়ার ব্যাপারটাকে সম্ভবত ভাল ভাবে নেননি সুশান্ত। ফলে, সেটা কেন্দ্র করে সুশান্তের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁদের।
উদয় বর্মন বলেন, ‘‘সুশান্তকে ৩০ হাজার টাকা ধার দেওয়া হয়েছে তিন বছর হয়ে গেল। টাকা চাইলেই ওঁর সঙ্গে বচসা বাধত। সুশান্ত কিছুতেই ধার শোধ করতেন না।’’ এ দিন সন্ধ্যায় গাজনের মেলায় সুশান্তকে পাওনা টাকা চাওয়া হলে সুশান্ত লোকজন নিয়ে স্বপন-উদয়ের উপর চড়াও হয়ে তাঁদের বেদম মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। উদয় আরও বলেন, ‘‘সময় মতো অন্য লোকজন এসে উদ্ধার না করলে আমাদের বড় রকম ক্ষতি হতে পারত।’’ উদয় বর্মনের দাবি, তাঁরা তৃণমূল করেন। সুশান্ত করেন বিজেপি। সুশান্তবাবুর দিক থেকে এটা রাজনৈতিক শত্রুতা বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। মেলায় সুযোগ বুঝে সুশান্তর ডাকে বিজেপি কর্মীরা এসে তাই তাঁদের মারধর করেন। স্বপন-উদয় তৃণমূল করেন বলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির তরফ থেকে এ আসলে তাঁদের একটু ‘শিক্ষা’ দেওয়া!
অভিযোগ অস্বীকার করে সুশান্ত জানান, ‘‘সামান্য টাকা নিয়ে যেখানে-সেখানে অপমান করতেন ওঁরা। এ বারেও করেছেন। এই নিয়েই বচসা হয়। হাতাহাতিও। তবে, মেলার ভিড়ে কে কাকে মেরেছেন, তা বলতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy