পোস্ট অফিসের মাস্টারমশাই তিনি। এক ডাকে চেনে-জানে গাঁয়ের লোক। ভরসাও করে। কেউ ডাকঘরে অল্প সুদে টাকা জমা রাখতে এলে তিনি নাকি বোঝান, বাইরে অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রাখলে দেদার সুদ। অল্প দিনে টাকা দ্বিগুণ। স্ত্রীকে এগিয়ে দেন। যিনি আবার ওই অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।
মাস্টারমশাইয়ের কথায় চোখ বন্ধ করে অনেকে টাকা রেখেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, মেয়াদ শেষ হলেও টাকা আর ফেরত দিচ্ছিলেন না তিনি বা তাঁর স্ত্রী। শেষমেশ অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। টাকা তছরুপ, প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ওই দম্পতি।
রবিবার বসিরহাটের মাটিয়ার গোবিলা গ্রাম থেকে আবদুল হাকিম মোল্লা ও মাসুমা বিবি নামে দু’জনকে ধরে পুলিশ। সোমবার তাদের বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবিলা গ্রামের আবদুল গ্রামেরই ডাকঘরের পোস্টমাস্টার। স্ত্রী মাসুমা চিটফান্ডের কর্মী বলে দাবি করত নিজেকে। গোবিলা গ্রামেরই মারুফ মণ্ডল পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে জানান, টাকা দ্বিগুণ হবে বলে ২০০৮ সালে ৭ হাজার টাকা নিয়েছিল ওই দম্পত্তি।
কিন্তু আর সে টাকা ফেরত পাননি মারুফ। গ্রামের ডাকঘরের পোস্টমাস্টার বলে আবদুলের কথায় বিশ্বাস করে বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন— জানালেন মারুফ।লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মারুফ একা নন, গ্রামের অনেকের থেকেই টাকা হাতিয়েছে ওই দম্পতি।
পুলিশ জানিয়েছে, দিনের পর দিন টাকা ফেরত না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের মানুষ। রবিবার আবদুলের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। ওই দম্পতিকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ওই দম্পতি কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রতারণার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে আবদুল। তা হলে গ্রাহকদের টাকা গেল কোথায়? স্পষ্ট উত্তর নেই দম্পতির মুখে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy