প্রতীকী ছবি।
বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে শুরু হল ডেঙ্গির রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে ‘অ্যালাইজা পরীক্ষা’ শুরু হয়। ওই দিন হাসপাতালে ভর্তি ২৮ জন রোগীর রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতাল সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘প্রথম তিন দিন এখানে রোগীদের ডেঙ্গির রক্ত পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষার জন্য ওই রক্তের নমুনা ফের বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। দু’টি রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট মিলিয়ে নেওয়া হবে।’’ মেশিনটি ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা এ ভাবেই বোঝা যাবে বলে তিনি জানান।
বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ডেঙ্গির রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় মহকুমার বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা, গোপালনগরের মতো দূর দূরান্ত থেকে জ্বর ও ডেঙ্গি নিয়ে আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছিলেন। এতদিন মহকুমা হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি রোগীদের রক্তের নমুনা বারসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হত। সেখান থেকে রিপোর্ট আসতে তিন দিন সময় লেগে যেত।
এ ভাবে চিকিৎসকদের সঠিক চিকিৎসা করতে সমস্যা হচ্ছিল। রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা বাইরের ল্যাবরেটরি থেকে টাকা খরচ করে রক্ত পরীক্ষা করাচ্ছিলেন। সেই সব রিপোর্ট নিয়েও চিকিৎসকের সন্দেহ ছিল। বেসরকারি বেআইনি ল্যাব মালিকেরা ওই সুযোগে রোগীদের প্রতারণা করছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। এখন হাসপাতাল থেকে ঘণ্টা চারেকের মধ্যে রক্তের রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। ফলে আরও ভাল চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে বলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন। মহকুমাতে আরও দু’টি হাসপাতাল রয়েছে। বাগদা গ্রামীণ হাসপাতাল ও চাঁদাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতাল। সেখানে ডেঙ্গির রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। এ দিকে মহকুমা হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা কিছু হলেও কমছে বলে সুপার দাবি করেছেন। বুধবার পর্যন্ত হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৭৯ জন। তার মধ্যে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে ৭৯ জন। সংখ্যাটা কয়েক দিন আগে আরও বেশি ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy