প্রতীকী ছবি।
দশ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে রবিবার দুপুরে গাইঘাটার এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সম্মানহানিতে গুটিয়ে গিয়েছিল প্রৌঢ়ের বছর সতেরোর মেজো ছেলে। বিকেলে কীটনাশক খেয়ে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করল। পুলিশকে সে জানিয়েছে, বাবার ‘কীর্তি’ সে মেনে নিতে পারেনি। লোকলজ্জার ভয়ে তাই নিজেকে শেষ করে ফেলতে চেয়েছিল।
সোমবারও এই ঘটনাকে ঘিরে সরগরম গাইঘাটা। পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বাসিন্দারা। তাঁর মেজো ছেলের ওই অবস্থার জন্য প্রৌঢ়কেই দায়ী করছেন তাঁরা। তাঁদের ক্ষোভ, বাড়িতে থেকেও কচিকাঁচাদের রেহাই নেই। ঘটনার জেরে নাবালিকার ক্ষতি তো হলই, নাবালক ছেলেটিও এখন মৃত্যুমুখে।
কী হয়েছিল রবিবার?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী বসিরহাট মহকুমার
বাসিন্দা। তার বাবা ভ্যান চালান। মা পুণেতে গেঞ্জি কারখানায় কাজ করেন। বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্ক না-থাকায় গাইঘাটায় মামাবাড়ি থেকে সে পড়াশোনা করে। মামা দিনমজুরের কাজ করেন। দিদিমা পরিচারিকার। রবিবার সকালে দু’জনের কেউ ছিলেন না। দিনদুয়েক আগে নাবালিকার জ্বর হওয়ায় সে বাড়িতেই ছিল। অভিযুক্ত মেয়েটির দূর সম্পর্কের দাদু। নাবালিকার জ্বর কমেছে কিনা, জানার অছিলায় প্রৌঢ় ওই বাড়িতে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
নাবালিকার বাড়ির ভাঙা টিনের দেওয়ালের ফাঁক দিয়ে এলাকার এক বাসিন্দা দেখে ফেললে বিষয়টি জানাজানি হয়। সকলে মিলে প্রৌঢ়কে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এলাকায় যখন এই ঘটনা নিয়ে ছিছিক্কার, তখনই বাড়িতে কীটনাশক খায় প্রৌঢ়ের মেজো ছেলে। তাকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গোটা ঘটনা নিয়ে অভিযুক্তের স্ত্রী বা পরিবারের কেউ কোনও কথা বলতে চাননি। নাবালিকার দিদিমা ধৃতের কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন। চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতাল এবং বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। সোমবার সে আদালতে গোপন জবানবন্দিও দেয়। এ দিন ধৃতকেও আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে এক দিনের জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy