প্রতীকী ছবি।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের শঙ্করপুর গ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সুকজান বিবি (৪৪)। দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই মহিলার ছেলে আবুল হোসেন মণ্ডলের অভিযোগের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃতার স্বামী মাজেদ গাজি-সহ চার জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পঁচিশ আগে হাসনাবাদের ডোলটুকারি গ্রামের সুকজানের সঙ্গে বিয়ে হয় বসিরহাটের শঙ্করপুর গ্রামের মাজেদের। তাঁদের তিন সন্তান। দু’জনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, গত তিন বছর ধরে মাজেদ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন সুকজান। এই নিয়ে সংসারে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। বাবার এই কাজের প্রতিবাদ করে ছেলেরাও। রাগে মাস কয়েক আগে স্বামীকে ছেড়ে কলকাতায় বড় ছেলের বাড়িতে চলে যান সুকজান। বড় ছেলে কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। এরপরে মাজেদই পুরনো ঘটনা ভুলে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনে।
পুলিশ জানায়, এ দিন ভোরে অসুস্থ হয়ে সুকজান বিবির মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর ছেলে ও ভাইদের জানানো হয়। খবর পেয়ে গ্রামে যান আত্মীয়েরা। মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করেন তাঁরা। অভিযোগ, এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। ধাক্কাধাক্কিও হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।
ছেলে আবুল বলেন, ‘‘বাবার ওই সম্পর্ক আমরা কেউ মেনে নিতে পারেনি। প্রতিবাদ করায় মায়ের উপরে অত্যাচার চালাত বাবা। মাকে খুন করতেই বাবা আমার কাছ থেকে নিয়ে এসেছিল।’’
মৃতার ভাই সিরাজুল ঘরামি বলেন, ‘‘জামাইবাবুর সঙ্গে তাঁর পরিবারেরই এক মহিলার সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে দিদির সঙ্গে গণ্ডগোল চলছিল। আমাদের বিশ্বাস স্বামী এবং তার ভাইয়েরা মিলে সুকজানকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে।’’ খুনের অভিযোগ অস্বীকার করে মাজেদ অবশ্য জানিয়েছে, সুকজানের মৃত্যু হৃদরোগের কারণে হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy