নতুন গাড়িতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। ছবি: নিজস্ব চিত্র
বকখালি, গঙ্গাসাগরের মতো লম্বা সমুদ্র সৈকতে দ্রুততার সঙ্গে দৌড়নো প্রায় অসম্ভব। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে উদ্ধার কাজে সময় লাগে। নিরাপত্তা নিয়েও ঝুঁকি থেকে যায়। এ সব কারণেই স্বরাষ্ট্র দফতরের উপকূল নিরাপত্তা বিভাগ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দু’টি উপকূল থানায় দেওয়া হল চার চাকার বাইক। সম্প্রতি বকখালিতে একাধিক পর্যটকের মৃত্যু ঘটেছে। প্রশাসনের দাবি, বকখালির পর্যটক বা গঙ্গাসাগরে আসা তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা আরও বাড়বে।
এই গাড়ির নাম ‘অল টেরেইন ভেহিকল’ বা সংক্ষেপে ‘এটিভি’। ‘কোয়াড বাইক’ বলা হয় এগুলিকে। দেখতে অনেকটা বাইকের মতো হলেও চার চাকার এই বাইক চলতে পারে বালি ছাড়াও উঁচু-নিচু সমস্ত পথে। চালক ছাড়া আরও একজন পিছনে বসতে পারেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মূলত বালিয়াড়ির উপরে এই বাইকের রেস হয়।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘দু’দিন আগে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানায় একটি এবং সাগর উপকূল থানায় ২টি এ রকম বাইক দেওয়া হয়েছে। পুলিশকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে। নিরাপত্তার কাজ সহজ হবে এতে।’’
দু’টি উপকূল থানার সমুদ্র সৈকতই কয়েক কিলোমিটার চওড়া। ফ্রেজারগঞ্জ থানার এক পুলিশ অফিসার জানান, বালির উপরে দ্রুত গতিতে চলতে পারে এই বাইক। দুর্ঘটনা ঘটতে দেখলে দ্রুত সেখানে পৌঁছনো যাবে।
বকখালি এবং গঙ্গাসাগর দু’টি এলাকাতেই সমুদ্র সৈকত ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে নজরদারি, উদ্ধার কাজ ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। উপকূল থানাগুলিতে এর আগে বিধানসভার কয়েকটি স্ট্যান্ডিং কমিটি ঘুরে গিয়েছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার চারটি উপকূল থানায় যে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই, তা তখনই পুলিশের তরফে জানানো হয়। এখনও চারটির মধ্যে তিনটি উপকূল থানাতেই জলপথে অভিযান চালানোর জন্য দ্রুত গতির জলযান নেই। দূরবিন এবং নাইট ভিশন দূরবিন নেই। তবে কোয়াড বাইক হাতে পেয়ে খানিকটা স্বস্তি বোধ করছেন দুই থানার পুলিশকর্মীরা।
বালিয়াড়ির উপরে চার চাকার কোয়াড বাইকগুলি চলবে। জেলা প্রশাসন থেকে জলপথে উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য শীঘ্রই দু’টি করে ওয়াটার স্কুটি দেওয়ার কথা ফ্রেজারগঞ্জ এবং সাগর উপকূল থানায়। গঙ্গাসাগর মেলার সময়ে সেগুলি দিয়ে জলে পর্যাপ্ত নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা করছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy