ঘরে-ফেরা: নিজস্ব চিত্র
সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরিয়ে ট্রলারের ইঞ্জিন খারাপ হয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ জলে ভেসে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী। তাঁদের উদ্ধারের পর সুস্থ্ করে দেশে ফেরত পাঠানো হল। পুলিশ-প্রশাসনের এই ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত পড়শি দেশের মৎসজীবীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক আগে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার ১৭ জন মৎস্যজীবী সমুদ্রে ইলিশ ধরতে বেরিয়েছিলেন। ট্রলারের ইঞ্জিন বসে যাওয়ায় ফিরতে পারছিলেন না। সাত দিনের বেশি সময় ধরে জলে ভাসতে ভাসতে কমে আসছিল খাবার-জলের ভাঁড়ার। এক সময়ে বাঁচার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। এক সময়ে এ দেশের একটি ট্রলার চোখে পড়ে। চিৎকার করে তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাংলাদেশিরা। ওই ট্রলারের লোকজনই সতেরোজনকে উদ্ধার করে নামখানা থানায় নিয়ে যান।
তাঁদের অবশ্য অনুপ্রবেশকারী হিসাবে গণ্য করা হয়নি। বরং শুশ্রূষার ব্যবস্থা করা হয় পুলিশের তরফে। দেওয়া হয় ওষুধপত্র, খাবার, পোশাক।
নামখানা থানা থেকে সকলকে পাঠানো হয় হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর উপকূলবর্তী থানায়। সেখানে তিন দিন রাখার পরে বুধবার সামসেননগরে কালিন্দী নদীর মাঝে দু’দেশের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সকলকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
দেশে ফিরতে পেরে স্বভাবতই খুশি আলম মিঞা, মহারাজ মীর-সহ মৎসজীবীরা। তাঁদের কথায়, ‘‘একটা সময় মনে হল, আর পরিবার-পরিজনের মুখ দেখতে পাব না। যখন উদ্ধার পেলাম, তখনই চিন্তা ছিল, হয় তো গ্রেফতার করে জেলে পোরা হবে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষে যে তৎপরতার সঙ্গে আমাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হল, তা বিশ্বাসই করতে পারছি না। সকলের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy