এই গাছকেই কাটা হচ্ছিল। নিজস্ব চিত্র
‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্প হবে। সেই ‘সবুজ শহর’ তৈরি করতে গেলে গাছ কাটতে হবে। তেমনটাই নাকি নিদান। নিদান যিনি দিচ্ছেন, তিনি এলাকার শাসক দলের কাউন্সিলর। আর গাছটি যেখানে আছে, সেটি এক জনের ব্যক্তিগত সম্পত্তি।
অভিযোগ, শুধু নিদান দিয়েই ক্ষান্ত হননি কাউন্সিলর। দলবল নিয়ে ওই প্রাচীন বট গাছ কাটা শুরুও করে দেন। জমির মালিকের দাবি, বাধা দিতে গেলে তাঁকে চড় মারেন ওই কাউন্সিলর। খড়দহের সারদাপল্লিতে বৃহস্পতিবারের রাতে এই ঘটনার পরে প্রহৃত জমি-মালিক খড়দহ থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সারদাপল্লির বাসিন্দা প্রীতম রায় কিছু দিন আগে বাড়ির পাশের একটি জমি কিনেছিলেন। সেই জমিতে একটি পুকুর রয়েছে। রয়েছে একটি বট গাছ। প্রীতমের অভিযোগ, দিন তিনেক আগে আচমকাই ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃষ্ণা শীল লোকজন নিয়ে এসে সেই গাছের বেশ কয়েকটি ডালপালা কেটে দেন। দেখতে পেয়ে ছুটে এসে বাধা দেন প্রীতম। তখনকার মতো চলে যায় কৃষ্ণার লোকেরা। প্রীতম যান খড়দহ পুরসভায়। সেখানে তিনি লিখিত অভিযোগ করেন কৃষ্ণা শীলের বিরুদ্ধে।
প্রীতম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ফের গাছ কাটা শুরু হতেই তিনি পুরসভার চেয়ারম্যান তাপস পালকে ফোন করেন। তাপসবাবু ঘটনাস্থলে আসেন। সব দেখে তিনি বলেন, ‘‘গাছ কোনও অবস্থাতেই কাটা যাবে না।’’
অভিযোগ, পুরপ্রধান চলে যাওয়ার পরে ফের গাছ কাটার তোড়জোড় শুরু হয়। বাধা দিলে কৃষ্ণার সঙ্গে প্রীতমের বচসা বাধে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সে সময়ে আচমকাই কাউন্সিলর আমাকে চড় মারেন।’’ এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রীতম।
কেন গাছ কাটতে গিয়েছিলেন?
কৃষ্ণা বলেন, ‘‘ওই গাছের শিকড়ে আশেপাশের বাড়ি-রাস্তা ফেটে যাচ্ছে। তা ছাড়া, ওখানে গ্রিন সিটি প্রকল্পে একটি পার্ক হবে।’’ কিন্তু, ব্যক্তিগত জমিতে পুরসভার পার্ক হবে কী করে? কৃষ্ণার জবাব, ‘‘জমি ওঁর নয়।’’ কিন্তু ওই জমি পুরসভারও তো নয়। তা হলে? নিরুত্তর কাউন্সিলর।
কৃষ্ণা অবশ্য চড় মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি পড়ে গিয়ে জখম হয়ে বাড়িতে শুয়ে রয়েছি। আমাকে ওরা গালাগাল করেছে।’’ চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আমি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি, ওই গাছ কাটা যাবে না। কেউ যদি গাছ কাটার চেষ্টা করে, তা হলে আমরা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy