Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

অবশেষে কৃষক সেতু সংস্কারের নির্দেশ মন্ত্রীর

কিছু দিনের মধ্যেই দিল্লি থেকে ইঞ্জিনিয়ারদের পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে। তার আগেই জীর্ণ হয়ে যাওয়া কৃষক সেতু ঘুরে দেখলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী। সোমবার দুপুরে দফতরের কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সেতুটি পরিদর্শন করেন তিনি। জেলা পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, সেতু ঘুরে দেখার পরে সেতুর ভাঙা অংশ দ্রুত সারাই করার নির্দেশ দেন তিনি। সেতুটির বেহাল দশা নিয়ে এর আগে বহু বার সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

দীর্ঘ দিন ধরে জীর্ণ পড়ে এই সেতু। —নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘ দিন ধরে জীর্ণ পড়ে এই সেতু। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:২৮
Share: Save:

কিছু দিনের মধ্যেই দিল্লি থেকে ইঞ্জিনিয়ারদের পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে। তার আগেই জীর্ণ হয়ে যাওয়া কৃষক সেতু ঘুরে দেখলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী। সোমবার দুপুরে দফতরের কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সেতুটি পরিদর্শন করেন তিনি। জেলা পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, সেতু ঘুরে দেখার পরে সেতুর ভাঙা অংশ দ্রুত সারাই করার নির্দেশ দেন তিনি। সেতুটির বেহাল দশা নিয়ে এর আগে বহু বার সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জেলা পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (২) নিমাইচন্দ্র পাল বলেন, “সেতুটির সংস্কারের বিষয়ে দিল্লির সেন্ট্রাল রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই ওই সংস্থার কর্তারা সেতুটি পরিদর্শন করবেন। তার আগে এ দিন সেতুটি ঘুরে দেখলেন মন্ত্রী।”

বর্ধমান জেলার সেতুগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল এই কৃষক সেতু। জেলা পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদর এলাকায় বাসিন্দাদের দাবি মেনে ১৯৭৫ সালে তৈরি করা হয়েছিল এই সেতু। শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী ভোলানাথ সেন। ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরে বামফ্রন্ট সরকার ওই সেতু মানুষ ও যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছিল। দীর্ঘ ৩৭ বছর পরে বর্তমানে সেতুটির অবস্থা বেশ খারাপ। কয়েকটি জায়গায় দেখা গিয়েছে ফাটল। সেতুটির দু’দিকের রেলিংয়ের বেশির ভাগ জায়গাই ভেঙে গিয়েছে। সেতুর মাঝে রাস্তা ভেঙে নিচের দামোদরের জল দেখা যাচ্ছে। সেই ফাঁক চাপা দিতে লোহার চাদর বসানো হলেও সেই চাদর বসে গিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যাচ্ছে সেতুর উপর। সেতুতে কোনও আলো না থাকায় রাতে মাঝে মধ্যেই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে কৃষক সেতুর মেরামত করা না হলে ভবিষ্যতে যে কোনও সময় সেতু ভেঙে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জেলার অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসার প্রয়োজনে সেতুটি নিয়মিত ব্যবহার করেন। শ্যামসুন্দরের চালকল মালিক উৎপল রায় বলেন, “সেতুটির মাঝে দু’টি জয়েন্টের মাঝের ফাঁক কয়েক ইঞ্চি বেড়ে গিয়েছে। গাড়ি যাওয়ার সময় প্রচণ্ড শব্দ হচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, সেতুর উপর দিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে বালি বোঝাই লরির যাতায়াতের ফলেই সমস্যা বাড়ছে। বর্ধমানের আরেক ব্যবসায়ী যোগেন্দ্র বর্মণের দাবি, “প্রশাসনের উচিত ওই জীর্ণ সেতুর উপর দিয়ে ওভারলোড অবস্থায় লরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া।”

তবে পূর্ত দফতরের এক কর্তার দাবি, ইতিমধ্যেই ওই সেতুর দু’পাশের রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। এ দিন দিল্লির দল আসার আগেই সেতুর বাকি মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। টানা কয়েক দিন রোদ উঠলেই গর্ত মেরামতের কাজ করা হবে।

সেতুটির দ্রুত সংস্কারের ব্যাপারে আশাবাদী বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু। তিনি বলেন, “দিল্লি থেকে কর্তারা সেতুর পরিদর্শনে আসার আগেই সেতুর প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ শেষ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করি, পূর্ত দফতর নির্দিষ্ট সময়েই কাজ শেষ করবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bardwan krishak setu reformation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE