Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
অভিযোগ কাঁকসায়

অভিযানের নামে পুলিশি তাণ্ডব

দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে হেনস্থার ঘটনায় অভিযান চালাতে গিয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল কাঁকসা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। পাঁচ মহিলা-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিপিএমের অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের আগের রাতে তৃণমূলের প্ররোচনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে পুলিশ এই কাজ করেছে। পুলিশ এবং তৃণমূলের তরফে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৫ ০১:০৬
Share: Save:

দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে হেনস্থার ঘটনায় অভিযান চালাতে গিয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল কাঁকসা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। পাঁচ মহিলা-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিপিএমের অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের আগের রাতে তৃণমূলের প্ররোচনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে পুলিশ এই কাজ করেছে। পুলিশ এবং তৃণমূলের তরফে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। কাঁকসার ক্যানাল পাড় বস্তির কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্রাফিক সামলানোর কাজ করছিলেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। তাঁদেরই দু’জন চোর সন্দেহে এক যুবককে ধাওয়া করে বস্তির ভিতরে ঢোকেন। তাঁদের দাবি, ওই যুবক বস্তিতে গিয়ে লুকিয়েছে। অভিযোগ, বস্তির বাসিন্দাদের একাংশ সেই সময় দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারদর করে। কাঁকসা থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। বুধবার সকালে সিভিক ভলান্টিয়াররা থানায় দাবি জানান, এর বিহিত করতেই হবে। তা না হলে তাঁরা কাজ করবেন না। এর পরেই রাতে অভিযানে যায় কাঁকসার পুলিশ।

বস্তির বাসিন্দাদের অভিযোগ, অভিযানের নামে বাড়ির আসবাব ভেঙে দেওয়া, মাটির দেওয়াল ভেঙে দেওয়া, বাসনপত্র ছুড়ে ফেলার মতো কাণ্ড করেছে পুলিশ। বেশ কয়েক জনকে মারধর, প্রতিবাদ করলে বয়স্ক মানুষজনকেও মাটিতে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বস্তির বাসিন্দারা। শেষে ৫ মহিলা-সহ মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে সিভিক ভলান্টিয়ারদের আটকে রেখে মারধর, হুমকি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে জামিন নামঞ্জুর হয়।

ওই বস্তিটি সিপিএমের কাঁকসা জোনাল অফিস লাগোয়া। ওই জোনালের প্রাক্তন সম্পাদক বীরেশ্বর মণ্ডলের অভিযোগ, বস্তির বাসিন্দাদের একাংশ বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানে যাবেন বলে আগাম জানিয়েছিলেন। সে ভাবেই প্রস্তুতি চলছিল। তাঁ অভিযোগ, ‘‘হঠাৎ তার আগে গভীর রাতে এ ভাবে তাণ্ডব চালিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্য, যাতে কেউ ওই অভিযানে না বেরোতে পারেন। তৃণমূলের প্ররোচনায় কাঁকসার পুলিশ এমন নিন্দনীয় ঘটনা ঘটিয়েছে।’’

পুলিশ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, সিভিক ভলান্টিয়ারদের আটকে রেখে মারধরের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে অভিযান চালানো হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক অবশ্য বলেন, ‘‘অভিযানের সময়ে বাড়াবাড়ি হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হবে।’’ তৃণমূলের প্রাক্তন কাঁকসা ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য দেবদাস বক্সীর বক্তব্য, ‘‘এলাকায় পায়ের তলায় মাটি নেই সিপিএমের। তাই যে কোনও ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে ওরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE