বর্ধমান মেডিক্যালে অমলবাবু। —নিজস্ব চিত্র।
প্রজাতন্ত্র দিবসের রাতে বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত ধৃত রবি পাশোয়ান। বিজেপির অভিযোগ, অমিত শাহের সভার পর থেকেই এলাকায় যাঁরা বিজেপি করেন তাঁদের বেছে মারধর করা হচ্ছে।
অমল দত্ত নামে আহত ওই বিজেপি কর্মীর স্ত্রী অশোকাদেবী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বর্ধমান থানায় মারধরের অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, ওই রাতে স্বামীর সঙ্গে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। পথে সদরঘাট পুরাতন বাজারের কাছে জনা পাঁচেক যুবক তাদের রাস্তা আটকায়। তারপরেই বাঁশ, লাঠি, লোহার রড দিয়ে তারা অমলবাবুকে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও দাবি করেছেন অশোকাদেবী। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অমলবাবুকে।
অশোকাদেবীর আরও দাবি, তাঁরা সপরিবারে বিজেপি সমর্থক। বর্ধমানের বড়নীলপুরে চৌরঙ্গি মাঠে অমিত শাহের সভার পরে এলাকায় যারা বিজেপি করে তাঁদেরই মারধর করা হচ্ছে বলেও তাঁর দাবি। অমলবাবুকেও ওই কারণেই মারধর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত দলীয় কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপির বর্ধমান গ্রামীণের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ নন্দী ও সুভাষ বালো। সন্দীপবাবুর অভিযোগ, “বিজেপির প্রসার দেখে তৃণমূলের লোকেরা বর্ধমান-সহ নানা জায়গায় আমাদের কর্মী ও সমর্থকদের মারধর করছে। বারবার ঘটনার কথা জানানো হলেও পুলিশ নিষ্ক্রীয়।” বর্ধমান থানা সূত্রে অবশ্য বলা হয়েছে, ওই ঘটনার পরে অভিযোগে নাম থাকা এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম রবি পাশোয়ান। এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত তিনি। ঘটনায় জড়িত আরও তিন জনকে খোঁজা হচ্ছে।
তবে তৃণমূল ধৃত রবি পাশোয়ানের সঙ্গে সমস্ত যোগসূত্র অস্বীকার করেছে। জেলা তৃণমূল গ্রামীণের অন্যতম সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্তের দাবি, “ওই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনীতি নেই। পুরনো ও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy