Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কীতর্ন শেষে রান্নার কয়লা নিয়ে সংঘর্ষ জামুড়িয়ায়

কীর্তন শেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের খিচুড়ি খাওয়াতে রান্নার জন্য আনা কয়লা বেঁচে গিয়েছিল। সেই কয়লা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী। জামুড়িয়ার তালতোড় গ্রামে মঙ্গলবার এর জেরে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা অলোক দাস ও তার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পঞ্চায়েত সদস্যা ঝর্না মাজির বাড়িতে ইট-পাটকেলও ছোড়া। এক তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৫ ০০:৫০
Share: Save:

কীর্তন শেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের খিচুড়ি খাওয়াতে রান্নার জন্য আনা কয়লা বেঁচে গিয়েছিল। সেই কয়লা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী। জামুড়িয়ার তালতোড় গ্রামে মঙ্গলবার এর জেরে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা অলোক দাস ও তার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পঞ্চায়েত সদস্যা ঝর্না মাজির বাড়িতে ইট-পাটকেলও ছোড়া। এক তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, তালতোড় গ্রামে অলোক দাস ও কাজল মাজির অনুগামীদের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। এক বছর আগে মদনতোড় পঞ্চায়েতের প্রধান, কাজলের ঘনিষ্ঠ অনুপ মণ্ডলকে সরিয়ে অলোকের অনুগামী বলে পরিচিত এক সদস্যকে প্রধান করা হয়। তাতে তাঁকে সহযোগিতা করেন তালতোড় গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা ঝর্না মাজি। তার পর থেকে বিবাদ আরও বাড়ে। বারবার দুই গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।

মঙ্গলবার ওই গ্রামে কীর্তন শেষে হরি মন্দিরের সামনে খিচুড়ি খাওয়ানোর আয়োজন হয়। রান্নার পরে জ্বালানির জন্য থানা থেকে আনা কিছু কয়লা বেঁচে যায়। তা বিক্রি করা হবে না রেখে দেওয়া হবে, সে নিয়ে অভিজিৎ মাজি ও সুরজিৎ মাজি নামে দুই ভাইয়ের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিজিৎ কাজলের ও সুরজিৎ অলোকের অনুগামী বলে পরিচিত। অভিযোগ, এর পরেই কাজলের অনুগামীরা অলোক ও ঝর্নাদেবীর বাড়ির সামনে গিয়ে ইট-পাটকেল তারা ছুড়তে থাকে। তাতে অলোকের বাড়ির প্রধান দরজা ভেঙে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ঝর্নাদেবী অভিযোগ করেন, কাজলবাবুরা তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করেন।

কাজলবাবু দাবি করেন, বেঁচে যাওয়া কয়লা অভিজিৎ মজুত করে রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু যখন জানা যায় যে কয়েক জন কয়লা আত্মসাৎ করতে চাইছে তখন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করেন। তার পরেই অলোকের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা বিনা প্ররোচনায় মারধর শুরু করে বলে কাজলের অভিযোগ। মার খেয়ে তাদের এক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দাবি করে তিনি জানান, তাঁরা এ নিয়ে জামুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পাল্টা একটি অভিযোগ করেছেন ঝর্নাদেবী। অলোকবাবুর বক্তব্য, ‘‘গ্রামে একটি বিবাদ হয়েছিল। তার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। কিন্তু কিছু লোক আমার বাড়িতে হামলা চালায়। পুলিশকে অনুরোধ করেছি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coal Group clash Kirtan Jamuria Trinamool
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE