Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কেতুগ্রামে তৃণমূল উপপ্রধান খুন, কারণ কি বখরার ভাগ

তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মারামারি, হাতাহাতি চলছিলই। এ বার পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে খুনের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে। বর্ধমানের কেতুগ্রামে এই খুনের পিছনে তোলাবাজির বখরা নিয়ে গণ্ডগোল ছিল কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন দলের এলাকা পর্যবেক্ষক তথা তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

শোকার্ত পরিবার। বাদশার মা, স্ত্রী ও ছেলে। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়

শোকার্ত পরিবার। বাদশার মা, স্ত্রী ও ছেলে। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৫৭
Share: Save:

তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মারামারি, হাতাহাতি চলছিলই। এ বার পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে খুনের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে। বর্ধমানের কেতুগ্রামে এই খুনের পিছনে তোলাবাজির বখরা নিয়ে গণ্ডগোল ছিল কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন দলের এলাকা পর্যবেক্ষক তথা তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

সোমবার কেতুগ্রামের শ্রীপুর গ্রামে বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ ইয়াসিন ওরফে বাদশার (৩৭) গুলিবিদ্ধ দেহ মেলে। রাতেই কেতুগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহের শেখ, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জাহাঙ্গির শেখ-সহ সাত জনের নামে অভিযোগ করেন নিহতের দাদা ইউনুস শেখ। মঙ্গলবার আরও কয়েক জনের নামে অভিযোগ করেন তিনি। তবে রাত পর্যন্ত কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ। বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, “তদন্ত চলছে। এখন এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।”

তৃণমূল সূত্রে খবর, কেতুগ্রামে দলের বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজ ও পর্যবেক্ষক অনুব্রতর দু’টি গোষ্ঠী রয়েছে। অনুব্রত বলেন, “বাদশাকে খুনের পিছনে তোলাবাজির ব্যাপার আছে কি না দেখতে হবে। তবে দলে থেকে তোলাবাজি করা যাবে না। দলীয় পর্যায়ে তদন্ত করে দেখব। সাহানেওয়াজের সঙ্গেও কথা বলব।”

নিহতের পরিজনেরা জানান, বাদশা অভিযুক্ত জাহের শেখেরই সঙ্গী ছিলেন। মাস তিনেক আগে টাকা নিয়ে মনোমালিন্য শুরু। নিহতের বাবা মহম্মদ ইলিয়াসের অভিযোগ, “দলের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়েই এমন হল।”

কেতুগ্রামের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান বাদশার খুনের পরে সুনসান এলাকা।

পুলিশের টহল চলছে চিনিশপুর গ্রামেও। মঙ্গলবার অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার জাহের-বিরোধী গোষ্ঠী ব্লক সদর কান্দরায় বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো বাদশা ও সাউদ মিঞার নেতৃত্বে তৃণমূলের ওই গোষ্ঠীর লোকজন কান্দরা পৌঁছয়। কিন্তু পুলিশ জানায় বিনা অনুমতিতে বৈঠক করতে দেওয়া যাবে না জানালে তাঁরা ফিরে যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জনের দাবি, “১০-১২টি মোটরবাইকে চড়ে আমরা ফিরছিলাম। আমগোড়িয়া ক্যানেল পাড়ের কাছে আমাদের দিকে গুলি ছোড়া হয়। বাদশার মোটরবাইক আটকে ফেলে দুষ্কৃতীরা।” সাউদ মিঞার দাবি, “আমরা অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী। তাই উপপ্রধানকে পরিকল্পনা করে খুন করা হল।” অনুব্রত যদিও বলেন, “আমার কোনও গোষ্ঠী নেই। খুনের পিছনে কারা আছে তা পুলিশ দেখছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE