Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

তৃণমূলের বিক্ষোভে ফের যানজট জাতীয় সড়কে

শীর্ষ নেতৃত্ব মানুষের অসুবিধা তৈরি করে অবরোধ-বিক্ষোভ না করার বার্তা দিয়েছেন। তবু তার পরেও মদন মিত্রকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ-মিছিল করল তৃণমূল। তার জেরে যানজট হল পানাগড় ও রানিগঞ্জে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে আটকে রইল যানবাহন। এ দিন পানাগড়ে তৃণমূলের একটি মিছিল জাতীয় সড়ক ধরে এসে শেষ হয় দার্জিলিং মোড়ে। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে সবাই চলে যান।

কাঁকসা থানা রোডে মিছিল।

কাঁকসা থানা রোডে মিছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর ও রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:১৩
Share: Save:

শীর্ষ নেতৃত্ব মানুষের অসুবিধা তৈরি করে অবরোধ-বিক্ষোভ না করার বার্তা দিয়েছেন। তবু তার পরেও মদন মিত্রকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ-মিছিল করল তৃণমূল। তার জেরে যানজট হল পানাগড় ও রানিগঞ্জে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে আটকে রইল যানবাহন।

এ দিন পানাগড়ে তৃণমূলের একটি মিছিল জাতীয় সড়ক ধরে এসে শেষ হয় দার্জিলিং মোড়ে। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে সবাই চলে যান। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কেটে যায় বহু ক্ষণ। রবিবারও সকাল ও বিকেলে পানাগড়ে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর বিক্ষোভে দু’দফায় জাতীয় সড়কে যান চলাচল থমকে যায়।

বিকেলে তৃণমূলের মিছিল শুরু হয় কাঁকসা হাটতলা থেকে। এর পরে রথতলা, মোল্লাপাড়া, ক্যানাল পাড় হয়ে মিছিল পৌঁছয় জাতীয় সড়কে। জাতীয় সড়ক ধরে মিছিল এগোতে থাকে দার্জিলিং মোড়ের দিকে। আদিবাসী মহিলাদের ঢিমেতালে নাচের সঙ্গে মিছিল এগোয়। ফলে, রাস্তার দু’দিকেই আটকে যায় বহু যানবাহন। মিছিল শেষ হয় দার্জিলিং মোড়ে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা তৃণমূল যুব নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন গলসির বিধায়ক গৌরচন্দ্র মণ্ডলও। পল্লববাবুর দাবি, “কেন্দ্রীয় সরকারের একশো দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া ও সিবিআইয়ের চক্রান্তের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন।”

রানিগঞ্জে অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক।

পরপর দু’দিন পানাগড়ে জাতীয় সড়কে তৃণমূলের বিক্ষোভের নিন্দা করেন নিত্যযাত্রীরা। সোমবার বিকেলে প্রায় একই সময়ে পানাগড় বাজারে তৃণমূল বিক্ষোভ দেখায়। এ দিন সেই সময়ে দার্জিলিং মোড়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। বর্ধমান থেকে দুর্গাপুর ফেরার পথে পরপর দু’দিন বিক্ষোভে আটকে রইলেন সিটি সেন্টারের বাসিন্দা রত্নাকর গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এক দিন বিক্ষোভ তবু মানা যায়। কিন্তু পরপর দু’দিন এ ভাবে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক নিত্যযাত্রীর ক্ষোভ, “বয়স্ক, অসুস্থ মানুষজনকেও আটকে থাকতে হচ্ছে গাড়িতে। বিক্ষোভকারীদের এ সব ভাবা উচিত।” পল্লববাবু অবশ্য এ দিন বিক্ষোভের কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “একটি মিছিল বেরিয়েছিল। দার্জিলিং মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সে জন্য কিছু যানবাহন সামান্য সময়ের জন্য সমস্যায় পড়েছিল। তবে দার্জিলিং মোড়ে কোনও বিক্ষোভ কর্মসূচি এ দিন ছিল না।”

এ দিন রানিগঞ্জের পঞ্জাবি মোড়েও সকাল ১১টা থেকে প্রায় ৪৫ মিনিট ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল। রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সেনাপতি মণ্ডলের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ চলে। সেখানেও রাস্তার দু’দিকে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে।

—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE