বারাবনিতে দোলা সেনের মোটরবাইক মিছিল। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
নানা ছুতোয় বিজেপি-র বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনছে তৃণমূল। কিন্তু নির্বাচন বিধি ভেঙে প্রায় চারশো মোটরবাইক নিয়ে রোড-শো করার অভিযোগ উঠল তাদেরই প্রার্থী দোলা সেনের বিরুদ্ধে।
নির্বাচন কমিশন আগেই বর্ধমান ও মালদহে মোটরবাইক মিছিল নিষিদ্ধ করেছে। তাও শনিবার বর্ধমানের বারাবনিতে এই রোড-শো হল কী করে, বিরোধীরা সেই প্রশ্ন তুলেছেন। আসানসোলের রিটার্নিং অফিসার তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক অমিত দত্ত বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।” সহকারী রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস জানান, নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা ওই মিছিলের ছবি তুলে রেখেছেন।
আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ তথা সিপিএম প্রার্থী বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে এনেছি। আশা করি, কমিশন ব্যবস্থা নেবে।” তিনি জানান, আজ, রবিবারই তাঁরা ফ্যাক্সবার্তা মারফত বাইক-মিছিল সহ আরও কিছু বিষয় নির্বাচন কমিশনে লিখিত ভাবে জানাবেন। কমিশনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান কংগ্রেস প্রার্থী ইন্দ্রানী মিশ্র। বিজেপি-র জেলা সভাপতি নির্মল কর্মকার বলেন, “মৌখিক ভাবে প্রশাসনকে আমাদের আপত্তির কথা জানিয়েছি। রবিবারের মধ্যে মিছিলের সিডি-সহ লিখিত অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।” তাঁর দাবি, তাঁদের প্রার্থীকে ‘মিথ্যা মামলায়’ ফাঁসানোর চেষ্টা করে পুলিশ যে ‘অতি সক্রিয়তা’ দেখিয়েছে, একই রকম তৎপরতায় তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।
বাবুলকে টক্কর দিতে রোড-শোয়ে আনা হয়েছিল সঙ্গীত পরিচালক তথা শিল্পী জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। একটি ম্যাটাডরে জিৎ, দোলা এবং বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, অন্যটিতে যন্ত্রানুষঙ্গীরা। মিছিল শুরুর আগে জিৎ বলেন, “বাবুলের সঙ্গে আদর্শগত মতভেদ আছে আমার। আমি তৃণমূল নেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ, তাই তাঁর প্রার্থীর জন্য প্রচারে এসেছি।” বিকেল ৫টায় বারাবনির তৃণমূল কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়। নানা এলাকা ঘুরে মিছিল শেষ হয় দোমহানিতে। মিছিল যত এগিয়েছে, মোটরবাইকের সংখ্যা ততই বেড়েছে। তৃণমূলের ঝান্ডা লাগানো মোটরবাইক যেমন ছিল, ঝান্ডা ছাড়াও ছিল। যে কথা তুলে দলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) কার্যকরী সভাপতি ভি শিবদাসন দাবি করেন, “ওই সব মোটরবাইক আগাম অনুমতি নিয়েই মিছিলে গিয়েছিল। পরে ঝান্ডা ছাড়া অনেক বাইক ঢুকে পড়ে। সেগুলি সাধারণ মানুষের। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।”
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম, নম্বর জানিয়ে আগাম অনুমতি নিলে যত খুশি গাড়ি বা মোটরবাইক নিয়ে মিছিল করা যায়। কিন্তু এক সঙ্গে দশটির বেশি বাইক থাকতে পারবে না। প্রতি দশটি বাইকের মধ্যে অন্তত দু’শো মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। এ দিন দৃশ্যতই যা মানা হয়নি। রাতে দোলা দাবি করেন, “আমার সঙ্গে কোনও মোটরবাইক ছিল না। মোট তিনটি গাড়ি ছিল। একটিতে আমরা ছিলাম, একটিতে জিৎ-এর যন্ত্রানুষঙ্গীরা, আর একটিতে জেনারেটর।”
আক্রান্ত পুলিশ
জুয়ার আসরে অভিযান চালানোর সময়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। ঘটনাটি শুক্রবার রাতে পূর্বস্থলী ব্লকের নাদনঘাট এলাকায়। পশুক্রবার রাতে নাদনঘাট বাজারের কাছে জুয়ার আসর চলার খবর পেয়ে এক সাবইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। জুয়ার আসরে উপস্থিত যুবকরা তখন পুলিশকে আক্রমণ করে। ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy