সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
এখনকার সমাজ ব্যবস্থায় কাজী নজরুল ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা বেশি করে উপলব্ধ হচ্ছে, আসানসোলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনে জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কবির জীবন ও তাঁর সৃষ্টি বিষয়ে দু’দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার পার্থবাবু উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে থাকছেন এই রাজ্য ও বাংলাদেশের নজরুল গবেষকেরা।
শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, নজরুলের সৃষ্টি যে ভাবে তুলে ধরা উচিত ছিল, তা হয়নি। তবে বর্তমান রাজ্য সরকার সে জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল গবেষক রফিকুল ইসলাম জানান, ১৯১৭ সালে রানিগঞ্জের সিহারসোল উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে নজরুল সেনাবাহিনীর ৪৯ বেঙ্গল রেজিমেন্টে নাম লিখিয়ে করাচি পাড়ি দেন। এই বছর সেই ঘটনার শতবর্ষ। নজরুলের সেনাবাহিনীতে যোগের তাৎপর্য ও তখন লেখা গান-কবিতা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়’-এর উপাচার্য মোহিত উল আলম দুই বাংলার সমাজ-সংস্কৃতির মেলবন্ধনে নজরুলের প্রভাব ব্যাখ্যা করেন। তাঁর মতে, বর্তমান সমাজে কবির অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তুলে ধরে দুই দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধীনে ‘নজরুল সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যান্ড কালচালার স্টাডিজ’ বিভাগ খোলা হয়েছে। নজরুল-সাহিত্যের বিশেষ পঠনপাঠন, গবেষণার সুযোগ হয়েছে। সাধনবাবু বলেন, ‘‘বিভাগটি সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ‘ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ’-এর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি জানান, গবেষকদের সাহায্যে দুই বাংলার নজরুল বিশেষজ্ঞদের মত আদানপ্রদানে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি মৌ সই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy