Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

নরহরির গ্রামে কীর্তন সম্মেলন

দু’দিনের কীর্তন সম্মেলন মঙ্গলবার শেষ হল। কাটোয়ার শ্রীখণ্ড গ্রামের বড়ডাঙা চত্বরে কীর্তনের আসর বসে। উদ্যোক্তারা জানান, সম্মেলনে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, মেদিনীপুর ও ঝাড়খণ্ডের মোট ২২টি দল যোগ দেয়।

শ্রীখণ্ডে চলছে কীর্তনের আসর। নিজস্ব চিত্র।

শ্রীখণ্ডে চলছে কীর্তনের আসর। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাটোয়া
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:৫০
Share: Save:

দু’দিনের কীর্তন সম্মেলন মঙ্গলবার শেষ হল। কাটোয়ার শ্রীখণ্ড গ্রামের বড়ডাঙা চত্বরে কীর্তনের আসর বসে। উদ্যোক্তারা জানান, সম্মেলনে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, মেদিনীপুর ও ঝাড়খণ্ডের মোট ২২টি দল যোগ দেয়।

লোকগীতির গবেষকদের মতে, কীর্তনের দু’টি ধারা বাংলায় প্রচলিত। একটি লীলা বা পদাবলী কীর্তন ও অন্যটি রসকীর্তন। গোষ্ঠ, মান, মাথুর, নৌকাবিলাস, নিমাই সন্ন্যাস— এগুলি হল লীলাকীর্তনের অন্যতম ভাগ, যা ‘পালা’ নামে পরিচিত। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকারদের মতে, কাটোয়ার শ্রীখণ্ডের বাসিন্দা নরহরি সরকার ঠাকুর ছিলেন অন্যতম চৈতন্য ভক্ত এবং বিখ্যাত পদাবলী রচয়িতা। এই গ্রামেই চৈতন্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় নরহরি সরকারের। ‘ভক্তিচন্দ্রিকাপটল’ ও ‘শ্রীকৃষ্ণভজনামৃত’ তাঁর দু’টি বিখ্যাত বই।

উৎসব কমিটির তরফে মদনমোহন রায় জানান, জানা যায় শ্রীখণ্ডের এই কীর্তন সম্মেলন শুরু হয় নরহরি সরকারের তিরোধানের পর। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুকুন্দ দাসের পুত্র রঘুনন্দন। পুরনো রীতি মেনে নৌকাবিলাস, বাসকসজ্জা, রাস, কুঞ্জভঙ্গ-সহ বিভিন্ন পালার কথা আসে কীর্তনে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE