ট্রেজারি দফতরের কয়েকজন কর্মী তাঁর কাছ থেকে অস্থায়ী কর্মীদের পুজো উপহার দেওয়ার জন্য অন্যায় ভাবে টাকা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ করলেন কেতুগ্রাম ১-এর বিএমওএইচ। মঙ্গলবার বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে বারবার চাপ দেন ওই কর্মীরা। শারীরিক নিগ্রহও করেন। যদিও পরে বিষয়টি মিটে গিয়েছে বলে মহকুমাশাসকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
কেতুগ্রাম ১-এর বিএমওএইচ সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে বারবার চাপ দেন কর্মীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলায় ট্রেজারি দফতরের এক প্রবীণ কর্মী-সহ কয়েকজন কর্মচারী অশ্রাব্য ভাষায় চিত্কার শুরু করেন। তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। সুদীপ্তবাবুর আরও দাবি, কাটোয়া মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে পুরো ঘটনা ঘটেছে।
ওই ঘটনার পরেই বিএমওএইচ টেলিফোনে জেলাশাসক, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, এসডিও (কাটোয়া) এবং ট্রেজারি অফিসারকে (কাটোয়া) বিষয়টি জানান। জেলাশাসকের পরামর্শে মঙ্গলবার তিনি লিখিত অভিযোগও করেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ হয়েছে বলে জানি। ছুটি থেকে ফিরে শুক্রবার এ ব্যাপারে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব।” কাটোয়া মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এসডিও দফতরে দু’পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সুদীপ্তবাবুর ব্যবহারে প্রশাসনের কর্তারা খুবই ক্ষুব্ধ হন। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের দাবি, দু’জনেই বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছেন। যদিও সুদীপ্তবাবু বলেন, “মীমাংসার কোনও প্রশ্নই নেই। আমি সুবিচার পেলাম না সে কথাই বলেছি।” সব শুনে জেলাশাসক বলেন, “এসডিওর কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy