শিক্ষাবর্ষ শুরুর পরে কেটে গিয়েছে প্রায় চার মাস। টেস্ট পরীক্ষা আর মাস দুয়েক পরেই। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে দ্বাদশ শ্রেণির ‘বাংলা ভাষা ও শিল্প সাহিত্য সংস্কৃৃতির ইতিহাস’ বইটি পৌঁছেছে অর্ধেক পড়ুয়ার হাতে। কিন্তু দুর্গাপুরে সংসদ অনুমোদিত বেসরকারি স্কুলগুলিতে কোনও পড়ুয়ার হাতেই সেই বই পৌঁছয়নি। শীঘ্র সমস্যা মিটবে, এমন কোনও আশ্বাসও দিতে পারছে না সহকারী স্কুল পরিদর্শকের দফতর।
শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই সরকারি ও বেসরকারি স্কুলদুই ধরনের স্কুলের পড়ুয়ারাই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তালিকায় থাকা বইটি বাজার থেকে কিনে নিয়েছিল। শুরু হয়ে গিয়েছিল পঠন-পাঠন। কিন্তু কয়েক দিন পরে সমস্যা দেখা দেয়। সিলেবাসে থাকা কবীর সুমন প্রসঙ্গে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় বইটি সরকারের তরফে বাতিল করে দেওয়া হয়। জুলাইয়ের শেষে সংসদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, বইটির পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। স্কুলগুলিকে তা সংগ্রহ করতে হবে। সর্বশিক্ষা অভিযান সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে বই এসেছিল তাদের কাছে। এর পরে বই পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে। সেখান থেকে স্কুলগুলির সংগ্রহ করার কথা।
দুর্গাপুরের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অগস্টের মাঝামাঝি বই হাতে আসে। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলিকে বই দেওয়া হয়েছে, তবে যত পড়ুয়া রয়েছে তার অর্ধেক। পরে বই এলে আবার দেওয়া হবে বলে দফতরের তরফে স্কুলগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিকে, সংসদ অনুমোদিত বেসরকারি স্কুলগুলিও বই চেয়ে দফতরে আবেদন জানায়। এমএএমসি মডার্ন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণ ভট্টাচার্যের দাবি, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর থেকে জানানো হয় একমাত্র সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলিকেই বই দেওয়া হবে। বাকিদের নয়। তরুণবাবু বলেন, “শিক্ষা সংসদের জারি করা নির্দেশিকায় সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বা অনুদানহীন, এ ভাবে ভাগ করা হয়নি। আমাদের স্কুলের মেধাবী পড়ুয়াকে বৃত্তি দিচ্ছে সংসদ। অথচ, বই দেওয়া হচ্ছে না।” তিনি জানান, এর ফলে তাঁদের স্কুলের ১৬০ জন পড়ুয়া ভুগছে। একই ভাবে বিধানচন্দ্র ইনস্টিটিউশন ফর বয়েজ স্কুলের ২৭৭ জন, বিধানচন্দ্র ইনস্টিটিউশন ফর গার্লস স্কুলের আড়াইশো পড়ুয়ার হাতে বই পৌঁছায়নি। শহরের আরও দু’টি সংসদ অনুমোদিত বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়ারাও একই পরিস্থিতিতে পড়েছে।
দুর্গাপুরের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক সুকুমার সেন জানান, তাঁর কাছে এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা নেই। সংসদের বিজ্ঞপ্তিতে তো স্কুলগুলিকে ভাগ করা হয়নি। তাহলে কেন এ ভাবে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এবং অনুদানহীনদু’ভাগে ভাগ করে কয়েকশো পড়ুয়াকে সমস্যায় ফেলা হচ্ছে? তিনি বলেন, “নিয়মের বাইরে গিয়ে আমি কাজ করতে পারি না। যেমন যেমন নির্দেশ আসবে, সে ভাবেই কাজ করা হবে।”
জুয়া খেলায় ধৃত। জুয়া খেলার অভিযোগে আসানসোলের একটি হোটেল থেকে পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। ওই হোটেলের ম্যানেজারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আসানসোলের আশ্রম মোড় এলাকার ওই হোটেলে হানা দেওয়া হয়। ধৃতেরা সকলেই শহরের ব্যবসায়ী। শুক্রবার আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ১৪ দিন জেল-হাজত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy