Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
খেলার খবর

বর্ধমান লিগে সঞ্জীব-সোহম

এ বছর বর্ধমান ক্রিকেট লিগে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন করেছে পাঁচটি ক্লাব। ফলে দ্বিতীয় বিভাগে ক্লাবের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২১টিতে। এই ক্লাবগুলি হল আদিত্য স্মৃতি সঙ্ঘ, আরাধনা সঙ্ঘ, আমরা সবাই ক্লাব, ভাতছালা ইউনাইটেড ক্লাব ও সেন্ট্রাল বর্ধমান স্পোর্টিং ক্লাব। এ বার প্রথম ডিভিশনে খেলা দলের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ন’টিতে। দুটি ক্লাব, দ্বিতীয় ডিভিশন চ্যাম্পিয়ান সুব্রত স্মৃতি সঙ্ঘ ও রানার্স পারবীরহাটা নেতাজি সঙ্ঘ প্রথম বিভাগে উঠেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৪ ০০:২৮
Share: Save:

এ বছর বর্ধমান ক্রিকেট লিগে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন করেছে পাঁচটি ক্লাব। ফলে দ্বিতীয় বিভাগে ক্লাবের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২১টিতে। এই ক্লাবগুলি হল আদিত্য স্মৃতি সঙ্ঘ, আরাধনা সঙ্ঘ, আমরা সবাই ক্লাব, ভাতছালা ইউনাইটেড ক্লাব ও সেন্ট্রাল বর্ধমান স্পোর্টিং ক্লাব। এ বার প্রথম ডিভিশনে খেলা দলের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ন’টিতে। দুটি ক্লাব, দ্বিতীয় ডিভিশন চ্যাম্পিয়ান সুব্রত স্মৃতি সঙ্ঘ ও রানার্স পারবীরহাটা নেতাজি সঙ্ঘ প্রথম বিভাগে উঠেছে।

দলবদল শেষ হয়েছে শনিবার। রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন হল ২৯ অক্টোবর। দলবদলের শেষ দিনেও চমকের শেষ ছিল না। শিবাজি সঙ্ঘ বাংলা ও রেলওয়ে দলের হয়ে রঞ্জি খেলা অভিজ্ঞ সঞ্জীব সান্যালকে সই করিয়েছে। সঞ্জীব গত বার মিলনীর হয়ে খেলেছিলেন। এ বছর তিনি কলকাতায় খেলছেন মোহনবাগানের হয়ে। একই দিনে মিলনী ক্লাব সই করিয়েছে ক্রিকেটার সোহম ঘোষকে। তিনি ২০১৩ সালে সিএবির সেরা অলরাউন্ডারের খেতাব পেয়েছিলেন। এক বছর আগে শিবাজিতেও খেলেছেন। সোহমও মোহনবাগানের ক্রিকেটার। এছাড়া মিলনী সই করিয়েছে কালীঘাটের বাঁহাতি স্পিনার রাজকুমার পালকে।

বর্ধমান লোকে ইয়ং মেনস সোসাইটি সই করিয়েছে সমীর চন্দ্র, সন্দীপ দাস ও সামসাদ হাসানকে। তিনজনেই কল্যাণে ও সামসাদ মিলনীতে খেলেছেন। আবার বর্ধমান লোকে ইয়ং মেনস সোসাইটি থেকে বিবেকান্দ সঙ্ঘে গিয়েছেন নীলাভ দেবনাথ। সুব্রত স্মৃতি সঙ্ঘও এ বার কয়েকজন প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটারকে সই করিয়েছে। তাঁরা হলেন কৌশিক ঘোষ, সুধীররঞ্জন সাউ, বিকাশ ভর্মা প্রমুখ। শিবাজি ও মিলনীর মতো কল্যাণ স্মৃতি সঙ্ঘও এ বার দলবদলে চমক দিয়েছে। বাংলা রঞ্জি স্কোয়াডের ক্রিকেটার সত্যব্রত মুর্মু, অনূর্ধ্ব ২৩ বাংলা দলের ক্রিকেটার ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, অভিজিত্‌ মুখোপাধ্যায়, শ্রেয়াংশ ঘোষ ও সায়ক ঘোষকে সই করিয়েছে তারা। কল্যাণে সই করা স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সৈকত দাস, বিপ্র সেন, বি অরুন, অঙ্কিত রায়, মির্জা মহম্মদ সবুজ, শুভম দত্ত ও সৌমদীপ মিত্র।

তবে টাকার টানাটানিতে অনেক ক্লাবই আবার প্রথম সারির কোনও ক্রিকেটারকে সই করাতে পারেনি। দীলিপ স্মৃতি সঙ্ঘের কর্মকর্তা চিত্তরঞ্জন দাসের আক্ষেপ, “এ বার আর্থিক দুরবস্থার কারণে আমাদের দল থেকে অনেক প্রথম সারির ক্রিকেটার অন্য দলে চলে গিয়েছেন। ফলে প্রথম বিভাগে টিঁকে থাকাই মুশকিল হবে আমাদের।” তাঁর দাবি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিয়মে স্থানীয় ক্রিকেটারদের দরও অনেক বেড়েছে। ফলে যে ক্রিকেটার আগে সামান্য টাকায় খেলতেন, তিনি প্রচুর টাকা চাইছেন। ফলে অনেক ছোট ক্লাবই প্রায় কাউকেই ধরে রাখতে পারেনি। মাঝারি মানের দল করেছে জাতীয় সঙ্ঘ, বিবেকানন্দ সঙ্ঘ, বড়শূল ইয়ং মেনস অ্যাসোসিয়েশন, ইছলাবাদ অ্যাথলেটিক ক্লাব ও পারবীরহাটা নেতাজি সঙ্ঘ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE