Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বারবার দুর্ঘটনা, চওড়া রাস্তার দাবি

রাস্তার সংস্কার হয়নি দীর্ঘদিন। সময়ের সঙ্গে তাল রেখে বাড়েনি রাস্তার আয়তনও। এর জেরে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে ডিভিসি মোড় থেকে দুর্গাপুর স্টেশন যাওয়ার রাস্তা বিসি রায় রোডে। বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তা সংস্কার ও উপযুক্ত ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে বারবার আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি।

দুর্গাপুরের বিসি রায় রোড। নিজস্ব চিত্র।

দুর্গাপুরের বিসি রায় রোড। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৫ ০২:০৫
Share: Save:

রাস্তার সংস্কার হয়নি দীর্ঘদিন। সময়ের সঙ্গে তাল রেখে বাড়েনি রাস্তার আয়তনও। এর জেরে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে ডিভিসি মোড় থেকে দুর্গাপুর স্টেশন যাওয়ার রাস্তা বিসি রায় রোডে। বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তা সংস্কার ও উপযুক্ত ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে বারবার আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি।

বাসিন্দারা জানান, এই রাস্তা দিয়েই বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিবিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন বহু মানুষ। দুর্গাপুর রেল স্টেশন, বীরভানপুর, রাতুড়িয়া অঙ্গদপুর শিল্পতালুক-সহ বিভিন্ন এলাকায় যেতে গেলেও ভরসা এই রাস্তাটিই। এ ছাড়াও টোলিফোন এক্সচেঞ্জ, পোস্ট অফিস, বিভিন্ন স্কুল, ডিপিএল কারখানা-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে যেতে গলেও ভরসা এই রাস্তাটিই। দিনভর ওই রাস্তা দিয়ে প্রচুর বাস, পণ্য বোঝাই লরি, ডাম্পার, গাড়িস মোটরবাইক যাতায়াত করে। রাস্তার দু’ধারে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় বিভিন্ন কারখানা।

এর জেরে প্রায়শই ওই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান বাসিন্দাদের একাংশ। সম্প্রতি বাবার সঙ্গে সাইকেলে করে স্কুল যাওয়ার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পড়ুয়ার। স্কুটিতে করে স্টেশন যাওয়ার পথেও পথ দুর্ঘটনায় মারা যান এক কলেজ পড়ুয়া। অথচ যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে বা রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য কার্যত কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। কোনও সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থা নজরে পড়ে না। দিন ভর ডাম্পার চলাচালেও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া যাত্রী তুলতে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে বাসগুলিও। এর জেরে মাঝেসাঝেই যানজট তৈরি হয় রাস্তায়। বাস চালকদের একাংশের দাবি, স্টপেজ সরিয়ে রাস্তার সম্প্রসারণ করলেই সমস্যা মিঠতে পারে।

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তা জুড়েই তৈরি হয়েছে ছোট বড় গর্তের। এর জেরে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটার পাশাপাশি গাড়িও খারাপ হয়ে যাচ্ছে বলে জানান চালকদের একাংশ। পুজোর তাপ্পি মেরে জোড়াতালি দেওয়ার চেষ্টা হলেও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আবার রাস্তা অত্যন্ত সঙ্কুচিত হয়ে গিয়েছে বলে জানান বাসিন্দারা। তেমনই একটি, গ্যামন ব্রিজ মোড়। ওই মোড় থেকে হ্যানিম্যান সরণী দিয়ে সোজাসুজি পৌঁছে যাওয়া যায় রাতুড়িয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকে। স্থানীয় বাসিন্দা বিধান মজুমদার, পার্থ বাগলরা অভিযোগ, বারাবার দুর্ঘটনা ঘটার পরেও টনক নড়েনি প্রশাসনের। একই হাল রাস্তার অন্যান্য মোড়গুলিরও।

বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, দিনভর দু’ধারে লরি, ডাম্পার দাঁড়িয়ে থাকার জেরেই রাস্তা রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। এই রাস্তা ধরে প্রতিদিন মোটরবাইক নিয়ে যাতায়াত করেন বীরভানপুরের অরূপ মণ্ডল। তাঁর অভিজ্ঞতা, ‘‘রাস্তার পাশে সরিগুলি এমন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে যে, সামনে আচমকা কোনও গাড়ি এলে রাস্তা থেকে নামাও যায় না।’’

গোটা বিষয়টি নিয়ে দুর্গাপুর পুরসভার পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই রাস্তাটি রাজ্য পূর্ত দফতরের। সম্প্রসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করা হবে।’’ ইতিমধ্যেই রাস্তা সম্র্রসারণের পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও দাবি পূর্ত দফতরের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE